Published : 08 May 2025, 12:56 AM
ভারতের সশস্ত্র বাহিনী বুধবার প্রথম প্রহরে সগৌরবে জানায়, পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালিয়েছে তারা। সেই বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে ঘুম ভাঙে স্থানীয়দের, আর পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশ এক সর্বাত্মক যুদ্ধের কিনারায় পৌঁছে যায়।
নয়াদিল্লি বলছে, তাদের সশস্ত্র বাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে সীমান্তের ওপারে, অর্থাৎ পাকিস্তানে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং এই হামলা করতে গিয়ে ‘ব্যাপক সংযম’ দেখিয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এই আক্রমণের ধরন এমন ছিল যে, তাতে উত্তেজনা বাড়ার কোনো কারণ নেই। আর তারা সচেতনভাবেই পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে নিশানা করেনি।
অন্যদিকে ক্ষোভে ফুসতে থাকা ইসলামাবাদ বলেছে, ভারতের হামলায় অন্তত ৩১ জনের প্রাণ গেছে, তারা সবাই বেসামরিক নাগরিক, তাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে।
পাকিস্তানের বিমান বাহিনী ভারতের বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে বলেও দাবি করেছেন পাকিস্তানি মন্ত্রীরা।
ভারত এই হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছে গত ২২ এপ্রিল তাদের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার বদলা নিতে। ওই ঘটনায় ২৬ জন পর্যটককে হত্যা করা হয়। নিহতরা সবাই পুরুষ, ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে তাদের গুলি করা হয়।
পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে বিধবা হওয়া নারীদের কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় বাহিনীর এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। অভিযানের নামটি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক একটি সন্ত্রাসী সংগঠনকে দায়ী করে আসছে। ভারতীয় পুলিশের দাবি, হামলায় জড়িতদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে আসছে, ওই হামলায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
ভারতীয় সেনারা ২২ এপ্রিলের পর থেকেই পেহেলগামের অরণ্যে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে দুই হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে। কিন্তু হামলাকারীদের খোঁজ এখনো মেলেনি।
বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, পেহেলগামের জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চালানো হামলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘দৃঢ় নেতার’ ভাবমূর্তি দেশের ভেতরে আরও উজ্জ্বল করতে পারে।
তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতির ওই ‘সংযম’ শব্দটি থেকে মনে হয়, মোদী দেশের ভেতরে নিজেকে একভাবে উপস্থাপন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দিতে চাইছেন ভিন্ন বার্তা।
একটি বিষয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে কোনো মতপার্থক্য নেই, তাদের সবারই বিশ্বাস, পাকিস্তানে ভারতের হামলা এ অঞ্চলে বড় সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
‘উদ্বেগজনক ঘটনাপ্রবাহ’
১৯৭১ সালের সর্বাত্মক যুদ্ধের পর এবারই সবচেয়ে বিস্তৃত পরিসরে পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে ভারত। তবে সে সময় এ দুই প্রতিবেশীর কারো হাতেই পারমাণবিক অস্ত্র ছিল না, এখন যেমন আছে।
ভারতের হামলার নয়টি লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে দুটি ছিল পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শহর মুজাফফরাবাদ ও কোটলি।
ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই কাশ্মীর অঞ্চলকে সম্পূর্ণ নিজেদের বলে দাবি করে। কাশ্মীরের দুই অংশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দুই দেশের হাতে। এই অঞ্চল নিয়ে এর আগে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে তারা।
বুধবারের হামলায় ভারতের আরো চারটি লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, শিয়ালকোট ও শাকরগড়। এর মধ্যে বাহাওয়ালপুর পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে থার মরুভূমির লাগোয়া, আর মুরিদকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরের পাশে, যার জনসংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি।
১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের অর্থনৈতিক কেন্দ্র এবং জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের আবাসস্থল পাঞ্জাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী এই প্রথমবার হামলা চালাল।
এর আগে আকাশপথে ভারতের হামলা সীমাবদ্ধ ছিল পাকিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চল বা পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে। ছয় বছর আগে কাশ্মীরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আধাসামরিক বাহিনীর অন্তত ৪০ জন জওয়ান নিহত হলে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটে মিসাইল ছুড়েছিল।
তবে বুধবারের হামলার ধরন অনেকটাই ভিন্ন ছিল বলে মনে করেন দক্ষিণ এশিয়ার জাতীয়তাবাদ ও সংঘাত বিষয়ে কাজ করা ভারতীয় রাজনীতি বিশ্লেষক সুমন্ত্র বোস।
তিনি বলছেন, মুরিদকের পাশের শহর লাহোর ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় জনবহুল শহর। বাহাওয়ালপুরও দক্ষিণ পাঞ্জাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।
ভারত সরকার দাবি করছে, কেবল ‘সন্ত্রাসীদের অবকাঠামো’ নিশানা করেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মোহাম্মদের এবং মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দপ্তর রয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক এক্স পোস্টে লিখেছে, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।” তবে সুমন্ত্র বোস এ হামলাকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলেই মনে করছেন।
তিনি বলেন, ভারত যতই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত নিশানার কথা বলুক, বাস্তবতা হচ্ছে, এবার হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের জনবহুল শহরগুলোতে। আর হামলাটা হয়েছে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নয়।
ভারতীয় হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ হিসেবে বর্ণনা করে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে জবাব দেওয়া শুরু করেছে।
ভারতের হামলা ও সীমান্তে গোলাবর্ষণে তাদের অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। আর কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভারতশাসিত কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ জনগণকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে। তাদের জন্য খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার কথা বলেছে।
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জম্মু, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরি ও পুঞ্চ এলাকায় বুধবার সব স্কুল, কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আর পাকিস্তানে রাজধানী ইসলামাবাদ ও পাঞ্জাব প্রদেশে সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে দুই দেশেই কয়েকটি বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছে। বহু ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো সামরিক সংঘাতের ভার বিশ্ব বহন করতে পারবে না।
মোদীর জন্য ‘সম্ভাব্য রাজনৈতিক সুবিধা’
পেহেলগাম হামলার দুই দিন পর বিহারে এক নির্বাচনি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা দেন, তার সরকার প্রত্যেক জঙ্গি এবং তাদের সহযোগীকে শনাক্ত করে শাস্তি দেবে এবং প্রয়োজনে ‘পৃথিবীর শেষ প্রান্তে গিয়ে’ তাদের খুঁজে বের করবে।
ওই হামলার পর পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু নদের জল বণ্টন চুক্তি ভারত স্থগিত করে। জবাবে ইসলামাবাদ শিমলা চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দেয়। দুই দেশই একে অন্যের কূটনীতিক, সামরিক প্রতিনিধি ও শত শত বেসামরিক নাগরিককে বহিষ্কার করে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব পদক্ষেপের পরও পাকিস্তানে হামলা চালানোর জন্য অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছিল ভারত সরকারের ওপর।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “ভারতের সামরিক শক্তি দেখানোর চাপ তৈরি হয়েছিল মোদীর ওপর। তিনি নিজেকে এমন একজন শাসক হিসেবে উপস্থাপন করেন, যিনি দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠিন প্রতিশোধে বিশ্বাসী। ফলে সামরিক ভাষায় পাকিস্তানকে জবাব না দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ছিল না।”
নয়াদিল্লিভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক রশিদ কিদওয়াই বলেন, পেহেলগাম হামলা ভারতীয়দের আবেগে ধাক্কা দিয়েছে। তাদের মধ্যে প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করেছে। আর জাতীয় নিরাপত্তায় অগ্রাধিকার দেওয়া একজন নেতার ভূমিকা নিয়ে মোদী সেই আবেগের প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। ভারত ঠিক সেভাবেই জবাব দিচ্ছে।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক প্রবীণ দন্তিও বলছেন, ২২ এপ্রিলের হামলার পর থেকে যে কৌশলগত অবস্থানের ইংগিত ভারত দিয়ে আসছিল, ৭ মের হামলা তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
দেশের মানুষের সামনে মোদী নিজের যে ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন, সে দিকে ইংগিত করে প্রবীণ দন্তি বলেন, ভারত এখন যা করছে, তা তাদের তৈরি করা একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা রাষ্ট্রের ইমেজ, সন্ত্রাসের প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতার বার্তা এবং মোদীর ‘দৃঢ় পুরুষ’ ভাবমূর্তির সঙ্গে খাপ খায়।
“এটা ছিল তাদের নিজেদের তৈরি করা একটি পরীক্ষা, যা মোদী সরকার অতিক্রম করতে চেয়েছিল। আর তাতে সফল হলে রাজনৈতিক লাভও হতে পারে।”
তবে পাকিস্তানে ভারতের এই হামলা যে ভবিষ্যতের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, সে বিষয়েও সতর্ক করেছেন দন্তি।
তার এই মূল্যায়নের সঙ্গে কুগেলম্যানও একমত। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরের মধ্যে পাকিস্তানে ভারতের সবচেয়ে তীব্র সামরিক তৎপরতা এটি।”
কী হতে পারে এরপর?
পাকিস্তান সরকার ভারতের এই হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হিসেবে বর্ণনা করে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করেছে। তাতে ইসলামাবাদের সামরিক নেতৃত্বও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে কুগেলম্যানের ধারণা।
তিনি বলেন, “এই হামলা আসলে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকে আরও শক্তিশালী করবে, কারণ সামরিক নেতৃত্ব জনগণকে নিজেদের পেছনে দাঁড় করাতে পারবে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বৈধতা অনেকাংশে এই ধারণার ওপর দাঁড়িয়ে যে, তারা ভারত থেকে দেশের সুরক্ষা দেয়। এখানে জাতীয়তাবাদের জোয়ার দেখা যেতে পারে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “বিশ্বাসঘাতক শত্রু পাকিস্তানের ভেতরে পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত হামলা চালিয়েছে। এই ঘৃণ্য আগ্রাসনের শাস্তি থেকে তারা রেহাই পাবে না।”
তিনি বলেন, “বিনা উসকানিতে ভারতের এই হামলার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার পূর্ণ অধিকার পাকিস্তান সংরক্ষণ করে- এবং সেই জবাব ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
“পুরো জাতি আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে একতাবদ্ধ। আমাদের মনোবল ও সংকল্প অটুট। পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের জন্য আমাদের প্রার্থনা রইল।”
শেহবাজ শরিফ বলেন, “শত্রুকে তাদের লক্ষ্য কখনোই পূরণ করতে দেওয়া হবে না।”
এদিন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সভাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।সেখানে তিনি ‘নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানির বদলা নিতে’ সশস্ত্র বাহিনীকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর দুই দেশের সেনাবাহিনী কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারী কামানের গোলা বিনিময় করেছে।
কুগেলম্যান বলছেন, দুই দেশের হাতেই যেহেতু পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, ফলে এই সামরিক উত্তেজনা আরো বাড়বে বলেই তার মনে হচ্ছে।
“পারমাণবিক বোমার শক্তি পকেটে রেখে প্রচলিত সামরিক শক্তির ব্যবহার যত বাড়বে, পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকিও তত বাড়বে। আমরা এখনও সে অবস্থায় যাইনি। তবে ঝুঁকি এখন অনেক বেড়ে গেছে।”
আরো পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানকে লড়াইয়ের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফেরাতে পারবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?
পাকিস্তান-ভারত পরমাণু যুদ্ধের পূর্বাভাস: আলোচনায় ৬ বছর আগের সেই প্রতিবেদন
বালাকোট থেকে অপারেশন সিঁদুর, ৬ বছরের ব্যবধানেও আশ্চর্য কিছু মিল
পাকিস্তানে কোন কোন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ভারত?
‘সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে’: বিশ্বের গণমাধ্যমে যেভাবে উঠে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’
হামলার সময় আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারা পালিয়েছিলেন পাহাড়ে
‘যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’, ভারতের হামলার নিন্দা জানিয়ে বলল পাকিস্তান
২৫ মিনিটের ‘অপারেশন সিঁদুর’, ৯ সন্ত্রাসী আস্তানায় ২৪ হামলায় নিহত ৭০: ভারত
অপারেশন সিঁদুর: জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ১০ স্বজন নিহত
পেহেলগামের বদলায় ‘অপারেশন সিঁদুর’, কেন এই নাম বেছে নিলেন মোদী?
ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে ‘৩ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত’
পেহেলগাম হামলার জেরে সংঘাতে ভারত-পাকিস্তান