Published : 22 May 2025, 03:35 PM
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে নিঃসঙ্গ এক বন্দুকধারীর গুলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন। ওই সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে আর তিনি ফিলিস্তিনপন্থি শ্লোগান দিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জানিয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে ওয়াশিংটনের কেন্দ্রস্থল নর্থওয়েস্টের থার্ড অ্যান্ড এফ স্ট্রিটের জুইশ মিউজিয়ামের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানটি হোয়াইট হাউজ থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে।
ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধান পামেলা স্মিথ জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি চারজনের একটি দলের দিকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেন, এতে ওই দুজনের শরীরে গুলি লাগে। গুলিবর্ষণের আগে তাকে জাদুঘরের বাইরে হাঁটতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শিকাগো থেকে আসা ৩০ বছর বয়সী এলিয়াস রড্রিগেজ এ ঘটনার একমাত্র সন্দেহভাজন।
আটক করার পর তিনি ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে শ্লোগান দেন বলে পামেলা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গুলিবর্ষণের পর সন্দেহভাজন জুইশ মিউজিয়ামে প্রবেশ করলে সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষীরা তাকে আটক করেন। হ্যান্ডকাফ পরানোর পর সন্দেহভাজন যেখানে অস্ত্র ফেলে দিয়েছিলেন সে জায়গাটি দেখিয়ে দেন, তখন অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। তিনি অপরাধটি করেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।”
পামেলা জানান, পুলিশের সঙ্গে এর আগে সন্দেহভাজনের কোনো যোগাযোগ হয়নি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিহতদের পুরো নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন, ইয়ারেন লিশিনস্কি ও সারা লিন মিলগ্রাম। তারা দু’জনই ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মী ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এ ঘটনা নেতানিয়াহু ও তার কট্টর ডানপন্থি অংশীদারদের হাতে গাজা যুদ্ধে আরও কঠোর লাইন গ্রহণের রাজনৈতিক অস্ত্র তুলে দিতে পারে। এর পাশাপাশি গাজার অবরোধ শিথিল করার জন্য পশ্চিমা মিত্রদের চাপে থাকা ইসরায়েল এ ঘটনা থেকে সহানুভূতি তৈরি করে নিতে পারে।
১৯৮২ সালে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে লন্ডনে গুলি করেছিল ফিলিস্তিনের আবু নিদাল গোষ্ঠীর সদস্যরা। এই হত্যা প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলেও তৎকালীন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারন পিএলওর সদরদপ্তর থাকা লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামলা চালাতে ঘটনাটিকে ব্যবহার করেন।
এফবিআইয়ের উপপরিচালক জানিয়েছেন, পুলিশ ও এফবিআই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে তিনি বলেছেন, “প্রাথমিক ইঙ্গিগুলো হল এটি পরিকল্পিত সহিংসতার একটি ঘটনা।”
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও এই গুলিবর্ষণের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। আর দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোম এক্স এ বলেছেন, “আমরা এই হীনচরিত্র অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব।”
আরও পড়ুন:
ওয়াশিংটনে গুলিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মী নিহত