Published : 02 Jun 2025, 09:40 PM
ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মুন্দ্রা বন্দর দিয়ে ভারতে ইরানের তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) আমদানি করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন মার্কিন কৌঁসুলিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ‘দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’ (ডাব্লিউএসজে) সোমবার এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় গুজরাট রাজ্যের মুন্দ্রা বন্দর ও পারস্য উপসাগরের মধ্যে চলাচল করা কিছু ট্যাংকারের গতিবিধি এমন ছিল, যেমনটি বিভিন্ন জাহাজ সাধারণত নিষেধাজ্ঞা এড়াতে করে থাকে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আদানি এন্টারপ্রাইজে এলপিজি সরবরাহের জন্য ব্যবহার হওয়া একাধিক ট্যাংকারের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিরপেক্ষভাবে এই প্রতিবেদন নিশ্চিত করতে পারেনি।
ডাব্লিউএসজে -কে দেওয়া বিবৃতিতে আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “আমরা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে বাণিজ্য বা ইরানি উৎসের এলপিজি-তে কোনও ধরনের ইচ্ছাকৃত সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করছি। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের কোনও তদন্তের কথাও আমাদের জানা নেই।”
এ বিষয়ে আদানি, মার্কিন বিচার বিভাগ কিংবা ব্রুকলিনের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের কেউ রয়টার্স-এর অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি।
ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আওতা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে নতুন করে এই তদন্ত শুরু হল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত মাসেই বলেছিলেন, ইরানের সব তেল কিংবা পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য ক্রয় বন্ধ হতে হবে। কোনও দেশ বা ব্যক্তি ইরান থেকে এই পণ্য কিনলে তার ওপর তাৎক্ষণিকভাবে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে।
এর আগে ২০১৯ সালে কেবল কোনও প্রতিষ্ঠানের ইরানি তেল বা পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসন।
গৌতম আদানির বিরুদ্ধে নতুন তদন্তের বিষয়টি এমন সময়ে সামনে এল, যখন কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল। বলা হয়েছিল, তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি পেতে ঘুষ দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে তহবিল সংগ্রহের সময় মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন।
তবে আদানি গ্রুপ এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে এবং সম্ভাব্য সব আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।