Published : 03 Jun 2024, 09:50 PM
রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁসের মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধামন্ত্রী ইমরান খানকে খালাস দিয়েছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। ইমরানের আইনজীবী ও দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর পক্ষ থেকে সোমবার একথা জানানো হয়েছে।
তবে ইমরান এখনই জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ, ইসলামি আইন লঙ্ঘন করে বুশরা বিবিকে বিয়ের আরেকটি মামলায় তিনি সাজা খাটাছেন।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে নিম্ন আদালত ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। গতবছর অগাস্ট থেকে ইমরান জেলে আছেন।
২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইসলামাবাদে একটি গোপন তারবার্তা পাঠিয়েছিলেন। ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এই বার্তা প্রকাশ করে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করেছেন।
তবে ইমরান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলে এসেছেন, ওই তারবার্তা গণমাধ্যমে এসেছিল অন্য সূত্র থেকে। নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিলও করেন তিনি।
সোমবার সেই আপিলেরই শুনানি শেষে দেওয়া রায়ে ইমরানকে মামলা থেকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট। ইমরানের সঙ্গে তার আমলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (২০১৮-২০২২) শাহ মেহমুদ কুরেশিকেও আদালত খালাস দিয়েছে।
কারাবন্দি ইমরান খানের জন্য হাইকোর্টের এই রায় এক বড় ধরনের জয়। রায়ের পরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক্সে পিটিআইয়ের আইন বিষয়ক মুখপাত্র সাঈম পানজুথা বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, সাজা বাতিল হয়ে গেছে।”
২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন।
ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক তারবার্তার কথা উল্লেখ করে তিনি তখন বলেছিলেন, যে বার্তা ফাঁসের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, সেটিই প্রমাণ করছে যে, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছিল। কারণ, তিনি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর আগে রাশিয়ায় সফর করেছিলেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনী উভয়ই ইমরানের এমন দাবি অস্বীকার করেছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোষাখানা দুর্নীতির মামলাসহ আরও কয়েক ডজন মামলা আছে। এসব মামলা তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য দায়ের করা হয়েছে বলে ইমরান নিন্দা জানিয়ে আসছেন।