Published : 29 Jul 2024, 07:37 PM
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের কুররামে একখণ্ড জমি নিয়ে উপজাতি দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরুর পর কর্তৃপক্ষ দুপক্ষকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর দাবি করলেও তা বিফলে গেছে। রোববারও সেখানে চলেছে গোলাগুলি।
পাঁচ দিনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছে ১৬৬ জন। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ছে অন্যান্য এলাকাতেও।
কুররামে গত সপ্তাহে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বোশেহরা ও মালেখেল উপজাতি গোষ্ঠীর মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষ ভারি ও স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করায় পরিস্থিতি ব্যাপক লড়াইয়ের রূপ নেয়।
পিওয়ার, টাঙ্গি, বালিশেল, খার কালে, মকবাল, কুঞ্জ আলিজাই, পারা চামকানি এবং কারমানের মতো অন্যান্য এলাকায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ডন’ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানায়, একদিন আগে পারাচিনার ও সাদ্দা শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়া হয়েছে।
রোববার পুলিশ ও জেলা প্রশাসন দাবি করে, চারদিনের চেষ্টার পর হাঙ্গু ও ওরাকজাই জেলার একটি জিরগা যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়।
ডেপুটি কমিশনার জাভেদুল্লাহ মাহসুদ বলেন, জিরগা সদস্যরা উভয় গ্রুপের দায়িত্বশীল প্রবীণদের সঙ্গে আলোচনা করেন। এরপরেই উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, উপজাতি প্রবীণদের সহায়তায় বোশেহরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হযয়েছে। অন্যান্য এলাকায়ও যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা চলছে। তারপরও এলাকাগুলোতে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গোলাগুলি অব্যাহত ছিল। বোশেহরায় পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হলেও জেলার অন্তত তিনটি স্থানে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
এ সংঘর্ষের কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাজার ও রাস্তা বন্ধ করে রাখায় কুররামের কয়েকটি এলাকায় খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে, পারাচিনার ও ইসলামাবাদে বিভিন্ন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ করেছে এবং সরকারের কাছে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।