Published : 07 Apr 2025, 08:46 PM
মিয়ানমারে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু আর বেঁচে যাওয়াদের টিকে থাকার সংগ্রামের মধ্যে ত্রাণকাজ জোরদার করতে সামরিক জান্তা সরকার এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট উভয়ই সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরও লড়াই চলার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের পাওয়া খবর অনুযায়ী, গত ২ এপ্রিলে মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সেনাবাহিনী ১৪ টি হামলা চালিয়েছে।
ওদিকে,মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা বিদ্রোহী জোটের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। এই দুটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি বলেছে, সেনাবাহিনীর চালানো হামলার জবাব দিতে গিয়েই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন হয়েছে।
সামরিক পরিষদের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জ মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “অকারণেই সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা হলে আমরা এর জবাব দেব।” তবে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিবিসি বার্মিজের অনুরোধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কোনও জবাব দেননি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক মিয়ানমারে সামরিক অভিযান বন্ধ করে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মানবিক ত্রাণ সংস্থাগুলোকে অবাধে মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় গত ২৮ মার্চে। এই ভূমিকম্পে হাজার হাজার ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ভূমিকম্প কেড়ে নিয়েছে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ।
মিয়ানমার জান্তা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর লড়াই চলে আসছে।
মিয়ানমারের মিলিটারি কাউন্সিল গত ২ এপ্রিলে ২০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তার আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় তিনটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর জোট।
মিয়ানমার সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সোমবার মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।আহতের সংখ্যা ৫ হাজার ১২ জন এবং ২১০ জন নিখোঁজ রয়েছে।