Published : 11 Jun 2025, 06:40 PM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের পর এবার টেক্সাসেও নামানো হচ্ছে সেনা।
টেক্সাস রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে অ্যাবট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করতে সেনারা সবরকমের হাতিয়ার কাজে লাগাবে।”
এক্সে তিনি লেখেন “টেক্সাসের বিভিন্ন জায়গায় ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আইনি। কিন্তু কোনও ব্যক্তি বা সম্পত্তির ক্ষতি করা বেআইনি। সেক্ষেত্রে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।”
ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে গত কয়েক দিন ধরে অবৈধ অভিবাসী আটকাভিযানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ চলছে।
কেবল লস অ্যাঞ্জেলেসেই নয় অন্য শহরগুলোতে, এমনকি অন্য রাজ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ টেক্সাসের কিছু জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। তার আগে দিয়ে টেক্সাসে মোতায়েন হচ্ছে ন্যাশনাল গার্ড।
টেক্সাসের গভর্নর অ্যাবট মঙ্গলবার সান অ্যান্টোনিওতে বিক্ষোভ কর্মসূচির আগে সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেন। এরপরই এক্সে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি।
টেক্সাসের অস্টিন শহরে সোমবার শত শত মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছে। রাজ্য ও স্থানীয় পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পিপার স্প্রে এবং টিয়ার গ্যাস ছুড়ে।
সোমবার ডালাসেও বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভ করে। সেই বিক্ষোভে অন্তত ১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ জানায়, বুধবার এবং শনিবার দক্ষিণ টেক্সাসের বেশ কিছু সংগঠন মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে পারে। তার মধ্যে টেক্সাসের স্যান অ্যান্টোনিও শহরে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি হওয়ার কথা আছে।
টেক্সাস ছাড়াও নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা ফিলাডেলফিয়া ও ওয়াশিংটন ডিসিতেও অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে।