Published : 07 Jun 2025, 04:47 PM
বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে শত শত কোটি ডলার পাচার করা ইরানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘ছায়া ব্যাংকিং’ নেটওয়ার্কের অংশ ৩০ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানি নাগরিকদের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকংয়ের কিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়টি জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা অন্তত দুটি কোম্পানির সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত ট্যাংকার কোম্পানির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, যেটি এর আগে থেকেই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ইরানের এই ছায়া ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হিসেবে কাজ করছে এবং এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তেহরান তার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মিত্র সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পেছনে অর্থ জোগান দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানি তিন ভাই, মানসুর, নাসের ও ফাজলোল্লাহ জরিনগালামের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা ব্যবহার করে গোপনে শত শত কোটি ডলার লেনদেন করে।
মন্ত্রণালয়টি বলছে, তারা ইরানে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের পাশাপাশি হংকং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সামনে থাকা কোম্পানিগুলোর একটি নেটওয়ার্ক পরিচালনা করেন। তবে এসব কোম্পানি ওই দেশগুলোর কোথায় অবস্থিত তা জানায়নি মার্কিন মন্ত্রণালয়টি।
তাদের পরিচালিত ফ্রন্ট কোম্পানিগুলো একাধিক মুদ্রায় বিভিন্ন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলে নিষিদ্ধ ইরানি প্রতিষ্ঠানগুলোর তেল বিক্রির অর্থ আদান-প্রদানে সহায়তা করে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
এই নিষেধাজ্ঞা এমন সময় এলো, যখন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণসহ বেশ কিছু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতানৈক্যের কারণে আলোচনার অগ্রগতি থমকে আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি’ নতুন করে শুরু হওয়ার পর থেকে এটি ইরানের ছায়া ব্যাংকিং অবকাঠামোর বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা।