Published : 13 May 2025, 01:16 AM
পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারত তার শক্তির পাশাপাশি সংযমও দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “সম্প্রতি জাতি একযোগে ভারতের শক্তি ও সংযম প্রত্যক্ষ করেছে।”
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া এ ভাষণে তিনি দেশের সশস্ত্র বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও বিজ্ঞানীদের প্রতি ভারতীয় নাগরিকের পক্ষ থেকে `স্যালুট' জানান।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, “এ ঘটনা শুধু জাতিকে নয়, গোটা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে।”
‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি কেবল একটি নাম নয়, বরং লাখ লাখ ভারতীয়ের আবেগের প্রতিফলন।
“পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা কেবল তাদের অবকাঠামোই নয়, মনোবলও ভেঙে দিয়েছে। এ অভিযানে শতাধিক ‘বিপজ্জনক’ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।”
মোদী বলেন, “ভারতের সুনির্দিষ্ট ও শক্তিশালী হামলায় পাকিস্তান গভীর হতাশায় ডুবে গিয়ে চরম ভীত ও মরিয়া অবস্থায় পৌঁছে যায়। সেই উত্তেজনার মুহূর্তে পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার পরিবর্তে বেপরোয়া আচরণ করে।
“তারা ভারতের স্কুল, কলেজ, মন্দির ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। সামরিক ঘাঁটিও নিশানা করে তারা।”
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা মোদী বলেন, পাকিস্তান যখন ভারতের সীমান্তে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন ভারত পাকিস্তানের মূল কেন্দ্রে জোরালো আঘাত হানে। ভারতীয় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত নির্ভুল হামলা চালায়।
“পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটিগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়, যেগুলো নিয়ে তারা দীর্ঘদিন ধরে গর্ব করত। ভারতের প্রতিক্রিয়ার প্রথম তিন দিনের মধ্যেই পাকিস্তান তাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি ধ্বংসের শিকার হয়।”
মোদী বলেন, “ভারতের আগ্রাসী পাল্টা ব্যবস্থার পরে পাকিস্তান উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজতে শুরু করে। ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা থেকে মুক্তির জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানায়।”