Published : 08 May 2025, 04:17 PM
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, অপারেশন সিঁদুর একটি চলমান অভিযান এবং যদিও ভারত এই পর্যায় থেকে উত্তেজনা আর বাড়াতে চায় না, তবে পাকিস্তান যদি আক্রমণ চালায় তাহলে নয়া দিল্লি ঠিকই পাল্টা জবাব দেবে।
বৃহস্পতিবার ভারতে সর্বদলীয় এক বৈঠকে তিনি এসব বলেন বলে এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর লক্ষ্যে সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বার বানানো নানান স্থাপনা গুড়িয়ে দিতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের একাধিক স্থাপনায় ভারতীয় বাহিনীর একযোগে হামলার একদিন পর এ সর্বদলীয় বৈঠক হল।
এতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বুধবার প্রথম প্রহরে হামলা সংক্রান্ত নানান তথ্য উপস্থিত শীর্ষ রাজনীতিকদের সঙ্গে শেয়ার করেন. তবে পরিস্থিতির সংবেদনশীলতার কারণে সব বিষয়ে যে বিস্তারিতভাবে জানানো যাচ্ছে না সে কথাও তিনি জোরের সঙ্গে বলেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।
বৈঠকে রাজনাথ বুধবারের হামলায় প্রায় ১০০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন। তবে তিনি এও বলেছেন, নিহত সন্ত্রাসীর সংখ্যা এখনও চূড়ান্ত নয়, তথ্য জোগাড় চলছে।
বৈঠকে লোকসভায় বিরোধীদলের নেতা রাহুল গান্ধী সরকারের যে কোনো পদক্ষেপে পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানে অভিযানের আগে-পরে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকে বিরোধীদের মত নেওয়ায় রাহুল সরকারকে ধন্যবাদও দিয়েছেন। তিনি কিছু প্রশ্নও তুলেছিলেন, তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সেসব প্রশ্নের জবাব পেতে সরকারের ওপর তেমন একটা চাপও সৃষ্টি করেননি, বলছে সূত্রগুলো।
তবে কংগ্রেসপ্রধান এবং রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খাড়্গে বলেন, “তিনি আগের বৈঠকেও ছিলেন না। ঠিক আছে, তিনি হয়তো মনে করছেন তিনি সংসদেরও উপরে। কখনো তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা যাবে। কিন্তু এখন সঙ্কটের সময়, এখন আমরা কারও সমালোচনা করতে চাই না।”
গোপনীয় হওয়ায় বৈঠকের অনেক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা যাবে না, বলেছেন রাহুল।
ভারতের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, বৈঠকে উপস্থিত সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই ‘পরিপক্কতা’ দেখিয়েছেন।
“যখন দেশ এই ধরনের সঙ্কটের মুখে থাকে, তখন রাজনীতির কোনো স্থান নেই। সকল নেতা একযোগে সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেছেন। সারা দেশে সব রাজনৈতিক নেতা একই ভাষায় কথা বলছেন—এটা খুব ভালো লক্ষণ। সবাই বলেছেন, আমরা সরকার ও বাহিনীর সব পদক্ষেপে সমর্থন দেব। কারও কোনো আপত্তি নেই,” বলেন তিনি।