Published : 03 Jun 2025, 11:22 PM
ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের জন্য সমঝোতায় পৌঁছোনো সহজ নয় বলেই মনে করছে রাশিয়া প্রশাসনের সদরদপ্তর ক্রেমলিন।
মঙ্গলবার ক্রেমলিন বলেছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানে একটি সমাধানে পৌঁছার চেষ্টায় যে প্রক্রিয়া চলছে তা অস্বাভাবিক রকমের জটিল। তাই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসন্ন, তেমনটি আশা করাই ভুল।
ইউক্রেইনকে রাশিয়া যে প্রস্তাব দিয়েছে সে ব্যাপারে কিইভের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ক্রেমলিন অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছে।
সোমবারই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি বৈঠকে বসেছিল ইউক্রেইন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদল। বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তে একমত হলেও যুদ্ধবিরতি যে এখনই হচ্ছে না তা বৈঠক থেকে স্পষ্টই বোঝা গেছে।
রাশিয়া এবং ইউক্রেইন দুই দেশই একে অপরের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে বৈঠকের আগেই বেশ কিছু শর্ত রাশিয়াকে দিয়েছিল ইউক্রেইন। রাশিয়া পরে বৈঠকের সময় তাদের শর্তগুলো ইউক্রেইনকে জানায়।
ইউক্রেইনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তারা সেই শর্তগুলো খতিয়ে দেখে এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
সোমবারের বৈঠকে রাশিয়া জানিয়েছিল, ইউক্রেইন যদি রাশিয়ার ভূখণ্ড ছেড়ে দেয় এবং তাদের সেনাসংখ্যা কমায়, তবেই যুদ্ধ থামানোর চিন্তা-ভাবনা করতে পারে মস্কো।
তবে ইউক্রেইন এমন প্রস্তাব বারবারই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। তবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পরও ইউক্রেইন এবার এই প্রস্তাবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে কিছু সময় নেবে বলে জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান,ইউক্রেইনের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় আছে রাশিয়া। তাছাড়া ইস্তানবুলের আলোচনা পর বন্দি বিনিময় এবং নিহত সেনাদের দেহাবশেষ বিনিময় নিয়ে যে সমঝোতা হয়েছে, তাকেও রাশিয়া সম্মান জানাবে।
এ সময় পেসকভ আরও বলেন, “শান্তি আলোচনার বিষয়বস্তু খুবই জটিল। এতে বহু সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম তারতম্য আছে। আর আপনারা এও দেখেছেন যে, গতকাল (সোমবার) আমরা ইউক্রেইনীয় পক্ষকে শান্তি প্রস্তাবের একটি খসড়া স্মারক দিয়েছি।
ফলে, “অবশ্যই এ বিষয়ে দ্রুত কোনও অগ্রগতি বা সিদ্ধান্ত হওয়ার আশা করাটা ভুল হবে। তবে কাজ চলছে। নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ইস্তাম্বুলের বৈঠকে চুক্তি হয়েছে এবং সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এই চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন হবে এবং তারপর কাজ চলতে থাকবে।”
ইস্তানবুলের বৈঠকে রাশিয়া এবং ইউক্রেইন বন্দি বিনিময় করতে একমত হয়। ২৫ বছরের কম বয়সি সেনাসহ গুরুতর আহত ও অসুস্থ সেনাদের ছাড়া হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাছাড়া, হাজার হাজার সেনাদের মৃতদেহও বিনিময় করবে ইউক্রেইন এবং রাশিয়া।
২০২২ সাল থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেইন যুদ্ধ চলছে। কখনও রাশিয়ার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস হচ্ছে ইউক্রেইনের একের পর এক শহর। তেমন রাশিয়ায় পাল্টা হামলাও চালাচ্ছে ইউক্রেইনও।
কী ভাবে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি করানো যায় তা নিয়ে বিভিন্ন দেশ উদ্যোগী হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও বার বার যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছেন।