Published : 15 May 2025, 03:24 PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার দেশ ইরানের সঙ্গে একটি পরমাণু চুক্তি করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং তেহরান বেশ কিছু শর্তে ‘মোটামুটি’ রাজি হয়েছে।
“দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা ইরানের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি,” উপসাগরীয় তিন দেশ সফরকালে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেছেন বলে প্যারিসভিত্তিক এক বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বশেষ দফার আলোচনা রোববার ওমানে শেষ হয়েছে। প্রকাশ্যে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে জোর অবস্থান নিলেও দুই পক্ষ এ নিয়ে আরও আলোচনার পরিকল্পনা করছে বলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তেহরান ও ওয়াশিংটন উভয়েই বলছে, তারা সমস্যর কূটনৈতিক সমাধান চায়। কিন্তু কয়েক দশকের বেশি সময় ধরে চলা বিরোধের কারণে তারা একে অপরকে খুব একটা বিশ্বাসও করতে পারছে না।
ট্রাম্প মঙ্গলবার তেহরানকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক শক্তি’ অ্যাখ্যা দেন এবং ইরানের নেতাদের কারণে জনগণের ‘দুর্ভোগ ও দুর্দশার’ সঙ্গে সৌদি আরবের ‘গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গির’ তুলনা টানেন।
এর প্রত্যুত্তরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, “ট্রাম্প মনে করেন তিনি আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি দিয়ে তারপর মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতে পারেন। এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও সব অপরাধের জন্য তো তারাই (যুক্তরাষ্ট্র) দায়ী।”
পেজেশকিয়ান যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধবাজ দেশ অ্যাখ্যা দিয়ে বলেন, তেহরান শান্তিই চায়।
“সৌদি আরব একটি মুসলিম দেশ। আমরা কীভাবে তাদের বিরুদ্ধে থাকতে পারি? ট্রাম্প মুসলিম দেশগুলোকে একদিকে রেখে অন্যদিকে ইরানকে রাখতে চান। তিনি ইরানের ভেতরেও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চান,” অভিযোগ ইরানি প্রেসিডেন্টের।