Published : 21 May 2025, 10:22 AM
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কায়া কাল্লাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ব্লকভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে সম্মত হয়েছেন।
ইইউয়ের সদরদপ্তর ব্রাসেলসে ওই মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামাজিক মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে তিনি বলেছেন, “একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সিরিয়া পুনর্নির্মাণে আমরা সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করতে চাই।”
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানান, তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেবেন। ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিতে পরিবর্তন এল বলে লিখেছে রয়টার্স।
কাল্লাস বলেছেন, “ইইউ গত ১৪ বছর (গৃহযুদ্ধকালীন) ধরে সবসময় সিরীয়দের পাশে দাঁড়িয়েছে আর তা অব্যাহত রাখবে।”
এক বিবৃতিতে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ইউনিয়নটি বলেছে, ইইউ আসাদের (সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ) শাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখবে।
“এর পাশাপাশি অভ্যন্তরীন দমনের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে এমন প্রযুক্তি ও অস্ত্রসহ নিরাপত্তার ক্ষেত্রভিত্তিক নিষেধাজ্ঞাগুলোও বজায় থাকবে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “যারা সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের লক্ষ্যস্থল করে ইইউ আরও অতিরিক্ত বিধিনিষেধের পদক্ষেপ নেবে।”
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি সামাজিক মাধ্যম এক্স এ লিখেছেন, ইইউয়ের সিদ্ধান্ত সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে জোরদার করবে।
ইইউ ইতোমধ্যেই জ্বালানি, পরিবহন ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত ক্ষেত্রগুলোতে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।