Published : 22 Dec 2023, 08:40 AM
পাঁচ বছর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খুন হওয়া সাংবাদিক জামাল খাশুগজির স্ত্রীকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রায় সাড়ে তিন বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে যাওয়ার পর খাশুগজির স্ত্রী হানান এলাতরকে এই সুবিধা দিল যুক্তরাষ্ট্র।
নিজের জীবন নিয়ে শঙ্কায় থাকা এলাতর ২০২০ সালের অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
গত ২৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি।
আশ্রয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর আবেগাপ্লুত হানান এলাতর বিবিসিকে বলেন, “আমরা জয়ী হয়েছি। হ্যা তারা (খুনিরা) জামালের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং আমার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে, কিন্তু আমরা জিতে গেছি।”
হানান এলাতর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার পর তিন বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে।
জন্মস্থান মিশর কিংবা ২৫ বছর ধরে বসবাস করে আসা আরব আমিরাতে ফিরে গেলে তার জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন এলাতর।
চাকরি এবং নিজের স্বাভাবিক জীবন ছেড়ে কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ডে সেই ভয় নিয়েই বসবাস করছিলেন এমিরেটসের সাবেক ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট এলাতার।
এরপর তিনি ২০২১ সালে সেখানে কাজের অনুমতি পান বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী র্যান্ডা ফাহমি।
এলাতরের এখন একটি চাকরি এবং অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।
দীর্ঘ সময় লাগলেও তার ‘দরজা খুলে দেওয়ায়’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
এলাতারের ভাষ্য তিনি ‘ভয় বোধ থেকে মুক্তি পেয়েছেন’।
২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খাশুগজিকে হত্যা করে তার লাশ গুম করে ফেলে সৌদি গোয়েন্দারা।
বেশ কয়েকবছর ধরে সৌদি আরবের ‘প্রকৃত’ শাসকের ভূমিকায় থাকা ‘এমবিএস’ নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে ধারণা মার্কিন গোয়েন্দাদের।
যুবরাজ মোহাম্মদ অবশ্য শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন; যদিও দাবি করেছেন, হত্যাকারীরা ‘তার ছত্রছায়ায় থেকে’ এ কাণ্ড ঘটিয়েছে।