Published : 04 Jun 2025, 10:00 PM
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরের আগে সম্পদ পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনূস-সারাহ বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান চলাচলে সহযোগিতা, অভিবাসন এবং সমুদ্র গবেষণা কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ‘কিং চার্লস হারমোনি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানান বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
জবাবে ইউনূস বলেন, “এটি আমার জন্য এক বড় সম্মান।”
বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগ নিয়েও মতবিনিময় হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপ এ সপ্তাহেই শুরু হয়েছে এবং দ্রুতই তা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সামুদ্রিক গবেষণা কার্যক্রম জোরদারে যুক্তরাজ্যের কারিগরি সহায়তা এবং ব্রিটিশ গবেষকদের প্রশিক্ষণের সুযোগ নিতে সরকার আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ৯ জুন সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যে যাবেন এবং ১৩ জুন দেশে ফিরবেন। সফরকালে তিনি যুক্তরাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ ও যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন এই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাচ্ছেন।
তাদের সফরসঙ্গী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে তারা পরে বিস্তারিত জানাবেন।
“তবে অ্যাসেট রিকভারি আমাদের একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ইস্যু। সেটি তাদের আলোচনায় থাকবে।”
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস। দুই দেশের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগ আমলে বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর চেষ্টায় অন্তবর্তী সরকার যেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, তার মধ্যে যুক্তরাজ্য অন্যতম। সেই উদ্যোগ এগিয়ে নিতেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাচ্ছেন গভর্নর ও দুদক চেয়ারম্যান।