Published : 17 May 2025, 01:37 PM
তরুণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ‘ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক’ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, “এই ব্যাংক প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর মতো হবে না। ব্যাংক চলবে বিশ্বাস ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে; যেখানে ঋণ নিতে জামানত লাগবে না।
“এর পাশাপাশি এই ব্যাংকের বড় উদ্দেশ্য হবে সামাজিক ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেওয়া।”
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) নতুন ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বাসস লিখেছে, অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি গঠনের ইতিহাস তুলে ধরে ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় আইন করার কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মানুষ মাত্রই উদ্যোক্তা। আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হওয়ার সরঞ্জাম তার হাতে তুলে দেব।
“বিনিয়োগের টাকা পেলে মানুষ বিশেষ করে তরুণরা নিজের বুদ্ধি দিয়ে ব্যবসা চালু করতে পারবে।”
ক্ষুদ্রঋণের সাফল্য তুলে ধরে নোবেলজয়ী ইউনূস বলেন, “ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারীরা- কেউ টাকা মেরে চলে যায়নি। অথচ প্রচলিত ধারার অনেক ব্যাংক হাওয়া হয়ে গেছে।
“ব্যাংকের টাকা নিয়ে অনেকে উধাও হয়েছে। তাই আমাদের এখন প্রকৃত ব্যাংকের দিকে নজর দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “সেটাই প্রকৃত ব্যাংক যার ওপর মানুষ বিশ্বাস রাখে, আস্থা রাখে যেমন- ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংক।”
সরকারপ্রধান বলেন, “এমআরএ কেবল বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণের জন্য নয়, বরং পৃথিবীর অন্যান্য দেশের জন্যও ভালো কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এম আনিসুজ্জামান চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।