Published : 03 Jul 2025, 06:05 PM
আট বছর আগে শরীয়তপুরের পালং থানা এলাকার যুবক দেলোয়ার হোসেন সরদারকে হত্যার মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।
ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকালে রায় ঘোষণা করেন।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মামলার ১২ আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইসমাইল সরদার, ছালমুন সরদার, রেজাউল সরদার, জুয়েল সরদার ও আমিনুল সরদার।
আর খালাস পেয়েছেন- মজিবর সরদার, ফজলুল সরদার, আ. মালেক সরদার, মোকলেছ সরদার, মাহাবুব সরদার, তোতা সরদার, টিপু সরদার, পারচেজ সরদার, আ. ছালাম সরদার, পাভেল সরদার, আজিজুল হক সরদার ও পারুল বেগম।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দেলোয়ার হোসেন সরদারের বাড়ি পালং থানার পশ্চিম চররোসুদ্ধি গ্রামে।
মামলার নথি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১২ জুলাই দেলোয়ার সরদার ও তার ভাই দুলাল সরদার সুবচনী বাজার থেকে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামিরা তাদের পথরোধ করেন। দেলোয়ারকে টেনে-হিঁচড়ে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে হাতুড়িপেটা করেন। ভাই দুলাল সরদার বাঁচাতে গেলে আসামি ইসমাইল সরদার তাকেও কোপান। আরেক আসামি রেজাউল সরদার হকিস্টিক দিয়ে পেটান দুলালকে।
এরপর দেলোয়ারকে আসামিরা রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়িভাবে সারা শরীরে হাতুড়ি, হকিস্টিক দিয়ে পেটান। ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। দেলোয়ারের এক স্বজন পারভীন আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে দেলোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাতেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার এক দিন পর ১৪ জুলাই দেলোয়ারের বাবা সালাম সরদার পালং মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ফরিদপুর জেলা পিবিআইয়ের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
বিচার চলাকালে এক আসামি মারা যান। ৩১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রায় ঘোষণা করলেন।