Published : 18 Oct 2024, 09:42 PM
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের মধ্যে এবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
তারা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি 'পুলিশ সুপার' পদোন্নতিপ্রাপ্ত) শাহেন শাহ্, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি 'পুলিশ সুপার' পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জুয়েল রানা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) রবিউল হোসেন ভুঁইয়া বলেন, “সুনির্দিষ্ট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা প্রত্যেকেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।”
এদের মধ্যে শাহেন শাহ্ দীর্ঘদিন ডিবিতে কর্মরত ছিলেন। জুয়েল রানা ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে এবং রফিকুল ইসলাম ডিএমপির গুলশান বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। এরপর একে একে সাবেক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ডিএমপি ডিবির লালবাগ বিভাগের সাবেক ডিসি মশিউর রহমান, ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফী, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম, এপিবিএন কনস্টেবল মো. সুজন, তাজহাট থানার এএসআই সৈয়দ আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ক্ষমতার পালাবদলে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজায় অন্তর্বর্তী সরকার। ব্যাপক রদবদল হয় পুলিশে। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পরদিনই বাদ দেওয়া হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
এসবির সাবেক প্রধান মনিরুল ইসলাম ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ অনেক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।