Published : 08 Aug 2024, 06:17 PM
গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর দেশজুড়ে ‘নৈরাজ্যকারীদের’ আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
সংগঠনটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, “আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ঢাকাসহ সারা দেশে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও সংখ্যালঘু পরিবার, ভাস্কর্য, স্থাপনা, শিল্পালয়, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যাদুঘর, চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহের ওপর প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ, লুট, ভাংচুর, হত্যা ও হুমকি চলছে।
“এ ছাড়া রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের চিন্তক, গবেষক, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারও হুমকির সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। পুলিশ বাহিনী ও থানাও আক্রমণ থেকে মুক্তি পাচ্ছে না। অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের আগে পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গণতান্ত্রিক চর্চা ও সুশাসনের জন্য এমন নৈরাজ্য একেবারেই সহায়ক নয়।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে তুমুল গণআন্দোলনে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই দেশের বিভিন্ন থানা, আওয়ামী লীগ অফিস, স্থাপনা ও ভাস্কর্য ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবর আসে। পুলিশশূন্য হয়ে পড়ে থানা ও ঢাকার সড়ক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবাইকে ধৈর্য ধারণ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান। সেই আহ্বান মনে করিয়ে দিয়ে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি বলছে, এই যুক্তিসঙ্গত আহ্বানে ‘নৈরাজ্যকারীরা’ কর্ণপাত করেনি।
“আমরা আশা করব অতি সত্বর সেনাপ্রধান, মাননীয় রাষ্ট্রপতি এবং আসন্ন অন্তবর্তীকালীন সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেবেন। আমরা আশান্বিত যে, সেনাবাহিনী থেকে ইতিমধ্যে কিছু জরুরি ফোন নম্বর সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল (বুধবার) সঙ্গত প্রয়োজনে অনেকেই সেই নম্বরে প্রবেশ করে সহায়তা চাইতেই পারেননি। আশাকরি এ ব্যাপারে দ্রুত আরও বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে।”