Published : 15 May 2025, 06:22 PM
মেয়র হওয়ার দাবি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে দেখা করেছেন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জামানত হারানো প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাতের পর মুশফিক বলেন, “২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যতটুকু ভোট হয়েছে বা গণনা হয়েছে, এই ভোটে আমিই বিজয়ী হয়েছি।”
আদালতে নিজের পক্ষে রায় পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ রয়েছে দাবি করে এ প্রার্থী বলেন, “এই বিষয়ে আমরা সিইসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম, “ওনার সঙ্গে কথা বলেছি, উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আইনের যে ব্যাখ্যা আছে, সে ব্যাখ্যা অনুযায়ী কাজ করবেন।”
২০২৩ সালের খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
হাতপাখা প্রতীকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল ভোট পান ৬০ হাজার ৬৪টি।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে শফিকুল ইসলাম মধু ১৮ হাজার ৭৪ ভোট ও জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পান ছয় হাজার ৯৬ ভোট।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পান ১৭ হাজার ২১৮ ভোট। এর আগে ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনেও জামানত হারান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
কিন্তু নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে জিতে চট্টগ্রামে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী মেয়র পদে দায়িত্ব নিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ইশরাক হোসেনের গেজেটও প্রকাশ করেছে ইসি।
এর মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার দাবি নিয়ে হাজির হন মুশফিক।
সিইসির কাছে আবেদনে তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনের দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর ব্যাপক ভোট জালিয়াতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ভোটারদের প্রতি হুমকি, হয়রানি ও প্রশাসনিক সীমাহীন অত্যাচার-নিপীড়নের কারণে অধিকাংশ ভোটার ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেনি।
“ভোট দিতে পারেনি- আমি বহুবার এ অভিযোগ করেছি, যার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ সেসময় রিটানিং অফিসার (খুলনা) নেননি।”
তিনি বলেন, “ইভিএম পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে তালুকদার আবদুল খালেককে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, যা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অযৌক্তিক। তদন্ত করে দেখলে ইহার সত্যতা প্রমাণ পাওয়া যাবে।”
সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনে বিকালে শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “ছাত্রজনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ার পরে আমি তিনটা দরখাস্ত করি।
“২০২৩ সালে যে নির্বাচন হয়েছে, সেটার ভোট গুনলে আমি জয়ী হব।”
দরখাস্তে সাড়া না পেয়ে হাই কোর্টে যাওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি রিট করি। আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন এবং তিনটা আবেদনের বিপরীতে লিখে দিয়েছেন যে, অবশ্যই এটাকে ৩০ দিনের মধ্যে ডিসপোজাল করে দেওয়ার জন্য।
“এই বিষয়ে আমরা সিইসি স্যারের সাথে দেখা করলাম, ওনার সঙ্গে কথা বললাম।”
এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও এখন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নন বলে জানান শফিকুর রহমান।
“আমি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। ২০০৮ সালে বাগেরহাট-১ থেকে সংসদ নির্বাচন করেছি। আগে বিএনপিতে ছিলাম; এখন আর রাজনীতি করি না।”