Published : 05 Feb 2025, 04:49 PM
পনের দিনের মধ্যে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংস্কারের দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- রিহ্যাব।
পাশাপাশি ওই সময়ের মধ্যে ইমারত বিধিমালা চূড়ান্ত করার দাবিও এসেছে আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন থেকে।
বুধবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “বৈষম্যমূলক ও ক্রটিপূর্ণ ড্যাপ প্রকাশের পর থেকে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোর জমির মালিকরা ক্ষোভে ফুঁসছে। রিহ্যাবের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে অসংখ্যবার সভা করা হয়েছে, চিঠি এবং নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ড্যাব এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধনে বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
“আমরা অনেক দিন ধৈর্য ধরেছি। অন্য সংস্থা বা সংগঠনের মত রাস্তায় আন্দোলন না করে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিব্রত না করে সহিষ্ণুতার সাথে কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমাদের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে গেছে। নানা ছলচাতুরি করে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।”
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, “আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে ড্যাপ ও নির্মাণ বিধিমালার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে বলতে চাই, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে।
“কোনো ধরনের সময়ক্ষেপণ এবং টালবাহানা চলবে না। এই সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে জমির মালিকসহ অংশীজনদের সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। আমাদের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।”
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সরকার অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা-২০০৮ জারি করে। এতে খাল-বিল জলাশয় সংরক্ষণ এবং রাস্তা প্রশস্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়।
“কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, নতুন ড্যাপের কারণে ঢাকা মহানগরের ৮০ শতাংশ অপরিকল্পিতই থেকে যাবে। ফার (ফ্লোর এরিরা রেশিও) সুবিধা কমিয়ে দেওয়ার ফলে ভূমি মালিকরা ভবন নির্মাণে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এতে মহল্লার রাস্তা অপ্রশস্ত থেকে যাচ্ছে। ঢাকা শহরের ৮০ শতাংশ এরিয়াকে অপরিকল্পিত রেখে নগরবাসীকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আক্তার বিশ্বাস, আব্দুল লতিফ, আব্দুর রাজ্জাক, পরিচালক প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লাবিব বিল্লাহ্, দেওয়ান নাসিরুল হক, মো. কামরুল ইসলাম, এ এফ এম উবায়দুল্লাহ, মো. হারুন অর রশিদ এবং মো. আইয়ুব আলী উপস্থিত ছিলেন।