Published : 19 Jun 2025, 04:46 PM
‘দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার’ কারণে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস খালাস করতে না পারায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা গ্যাস সংকট তৈরি হয়েছে।
গ্যাস সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতের গ্রাহকেরা। গ্যাসের অভাবে সড়কে যানবাহনও কমে গেছে।
বুধবার সন্ধ্যা থেকে নগরীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকার গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়। কিছু এলাকায় গ্যাসের চাপ কমে গেলেও বেশিরভাগ এলাকা গ্যাসবিহীন হয়ে পড়ে। রাত ১২টার পর লাইনে গ্যাস আসলেও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে চাপ কমে যায়। আর সকাল ৮টার পর থেকে অনেক এলাকায় গ্যাস নেই।
যে কারণে বাসা বাড়িতে রান্না করতে পারেননি অনেকে। চাপ পড়ে খাবারের হোটেলগুলোতে।
এ চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা যায় হোটেলগুলোকে। অনেক হোটেলে খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা রাইসা ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা থেকে লাইনে গ্যাস না থাকায় রান্না করা যায়নি। রাইস কুকারে ভাত রান্না করতে হয়েছে। আজ সকাল থেকেই গ্যাস নাই। রান্না করা যায়নি। তাই রেস্তোরাঁ থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।”
বুধবার রাতে রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের পেট্রোবাংলার এক বার্তায় বলা হয়, “দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত এফএসআরইউতে গতকাল ও আজ এলএনজি কার্গো বার্থিং করতে না পারায় জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সঞ্চালন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
“এর ফলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি অধিভুক্ত এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে বার্থিং শুরু হবে।”
সাময়িক এ অসুবিধার জন্য ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে নগরীর গ্যাসের অভাবে অনেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। যেগুলোতে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক আছে সেগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। গ্যাস না পেয়ে অনেকেই গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন।
মো. হালিম নামে এক অটোরিকশা চালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সকাল ৮টা থেকে নগরীর কদমতলী, টাইগারপাস, ঝাউতলা রেল গেইটসহ বিভিন্ন স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার চেষ্টা করেও নিতে পারেননি তিনি।
“অলঙ্কার এলাকায় একটি স্টেশনে গ্যাস দেওয়া হলেও সেখানে চাপ খুব কম। সর্বোচ্চ ১০০ টাকার গ্যাস দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে ১২টার পর থেকে গাড়ি বন্ধ করে গ্যারেজে রেখে দিয়েছি,” বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা যায়। গতকাল আমরা সে পরিমাণ গ্যাস না পাওয়ায় চাপ কিছুটা কমে গেছে।
‘দুর্যোগপূর্ণ অবহাওয়ার’ কারণে এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “দুই দিন ধরে এলএনজি টার্মিনালে জাহজ ভিড়তে পারছে না। আজকে একটি জাহাজ ভিড়েছে। আশা করছি সন্ধ্যা নাগাদ এ সমস্যা সমাধান হতে পারে।
আরও পড়ুন: