Published : 21 May 2024, 08:09 PM
বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগে যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, সেটির অধীনে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে- সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়, এটি অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স আইনের প্রয়োগ।
“সেখানে অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন্স একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।”
মঙ্গলবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সাধারণভাবে ‘যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য’ বিবেচিত হবেন।
উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপিসহ সমমনারা ‘অবিরাম’ মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপিসহ সমমনাদের অবিরাম মিথ্যাচার মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। টিআইবির অপপ্রচার আছে। আরও কিছু নামিদামি বুদ্ধিজীবী আছেন; তারাও মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে মানুষের আগ্রহ নষ্ট করেছেন ভোটের ব্যাপারে।
“স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ও আমাদের বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়- এটা বলা যাবে না। এখানে কিছু সংঘাত, প্রাণহানি ঘটে। এখানে আমাদের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ক্যাজুয়ালটি নেই।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভোটাররা কেন্দ্রে আসেননি- এটা যদি বলেন, এটা তো স্থানীয় নির্বাচন; ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে ছিল ৪২ শতাংশ। বিএনপি নেতাদের বলব- ১৫ ফেব্রুয়ারির যে নির্বাচন তাতে বিবিসি বলেছিল ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন বলেছে ২১ শতাংশ। আপনাদের জাতীয় নির্বাচনে ২১ শতাংশও যদি ধরি তাহলে ৩০ শতাংশ (উপজেলা নির্বাচন) এটা কম কীসের?
“আমি যেই ভোট হয়েছে, এটাকে খুব বেশি ভাল বলব না। বলব- মোটামুটি ভাল হয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি টার্ন আউট নিয়ে আমার মনে হয় বেশি কথার বলার প্রয়োজন নেই।”
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।