Published : 15 May 2024, 12:43 AM
শ্রম আদালতে মামলা দায়েরের সংখ্যা এবং মামলা নিষ্পত্তির ঘটনা আগের অর্থবছরের তুলনায় বেশ বেড়েছে।
মঙ্গলবার সংসদ ভবনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থাপিত এক অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছর শেষের আগেই মামলা নিষ্পত্তির ঘটনা বেড়েছে প্রায় তিন হাজার; এক তৃতীয়াংশ।
কমিটির আগের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।
সে অনুযায়ী বৈঠকে উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি শ্রম আপিল ট্র্যাইবুন্যাল এবং ১৩টি শ্রম আদালতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৮ হাজার ৫২টি মামলা হয় এবং নিষ্পত্তি হয় ৮ হাজার ৪৯৯টি। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত মামলা দায়ের হয় ৮ হাজার ৮৫৪টি এবং ১১ হাজার ২৫৬টি নিষ্পত্তি হয়।
গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে মামলা নিষ্পত্তি বেড়েছে ৩৩ শতাংশের মত। তবে এপ্রিল পর্যন্ত শ্রম আদালত ও আপিল ট্রাইব্যুনালে ২০ হাজার ৯৩৩টি মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আগের একটি আপিল ট্রাইব্যুনাল ও সাতটি শ্রম আদালতের সঙ্গে বর্তমান সরকার আরও ছয়টি শ্রম আদালত প্রতিষ্ঠা করেছে। মামলা জট কমানোর জন্য নতুন আদালতগুলোর অধিক্ষেত্র পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অধীর চন্দ্র বালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতের সংখ্যা বাড়ানোর কারণেই মূলত মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের বরাদ্দ ও ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেখান থেকে ৮ হাজার ৪৮২ জন শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে সহায়তা হিসেবে ৫২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। অফিস ব্যবস্থাপনায় খরচ হয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। বিজিএমইএকে দেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা।
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের দেওয়া সহায়তা এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যক্রমের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাজাহান খান, মন্নুজান সুফিয়ান, ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল, এসএম ব্রহানী সুলতান মামুদ ও মো. আবদুল্লাহ।