Published : 29 Jun 2025, 03:37 PM
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ঘোষিত তিনটি দিবসের মধ্যে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’টি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এছাড়া ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছিল, এখন এর নতুন নাম হবে ‘জুলাই শহীদ দিবস’।
রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন।
চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে জুলাই ও অগাস্ট মাসকে উদযাপন করতে তিনটি দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।
এর মধ্যে জুলাইয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে রংপুরে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যুর দিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়া ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সরকার পতনের ঘটনাবহুল ৫ অগাস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছিল।
সেইসঙ্গে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরুর দিন ৮ অগাস্টকে ঘোষণা করা হয় ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৫ জুন আলাদা পরিপত্রে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানায়। প্রতিবছর যথাযথ মর্যাদায় দিবসগুলো পালন করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সেখানে।
তবে ৮ অগাস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের ঘোষণা প্রত্যাখান করে ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন।
তাদের ভাষ্য, জাতীয় ‘মুক্তি দিবস; ৫ অগাস্ট, ৮ অগাস্ট নয়। সরকার ৮ অগাস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের চেষ্টা করলে ইনকিলাব মঞ্চ সেদিন ‘বিপ্লব-বেহাত দিবস’ পালন করবে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানামুখি আলোচনা চলে। অভ্যুত্থানের পক্ষের ছাত্র-জনতার অনেক আকাঙ্ক্ষা যে সরকার পূরণ করতে পারেনি, সেসব কথাও আসে।
এর মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের রোববারের বৈঠকে দিবসটি বাতিলের সিদ্ধান্ত এল।
বৈঠকের পর প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেইসবুকে লেখেন, “উপদেষ্টা পরিষদ ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ এবং ৫ অগাস্টকে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ অগাস্টের জন্য কোনো বিশেষ উদযাপন হবে না।”
পুরনো খবর