Published : 11 Oct 2023, 11:04 PM
বাবু, মুনমুন আর ওয়াসফিয়া- নামের আদ্যক্ষর দিয়ে নিজেদের যৌথ নাম রেখেছিলেন ‘বিএমডব্লিউ’। গাড়ির নামের সঙ্গে তা মিললেও তাদের কারবার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার, তবে তা প্রতারণার।
পুলিশ বলছে, চক্রটি প্রেমের নাম করে টার্গেট ব্যক্তির অশ্লীল ছবি তুলে টাকা আদায় করে আসছিল।
মঙ্গলবার রাতে সেই অভিযোগে মিরপুর ২ নম্বর সেকশন থেকে হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪), মুনমুন (৩০), ওয়াসফিয়া খানম (২৬) ও খাদিজাকে (২৭) নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওয়াসফিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসীন বলেন, “ওয়াসফিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী চক্রটি গড়ে উঠেছে এবং তারা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল।
“সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য কোনো মাধ্যমে টার্গেট ব্যক্তির কাছে খুব অল্প পরিমাণ টাকা সাহায্য চাইতেন চক্রের এক সদস্য। পরে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। পরে ওই ব্যক্তিকে বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়ে জিম্মি করে ফেলে চক্রটি।”
সবশেষ গত মঙ্গলবার রাতে এক এনজিও কর্মকর্তার সঙ্গে এ ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা মহসীন বলেন, “ওই কর্মকর্তার সাথে চক্রের এক সদস্যের সম্পর্ক হলে তাকে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের এক বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে চক্রের এক নারীর সদস্যের সাথে অশ্লীল ছবি তুলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে।"
পরে ওই ব্যক্তি ১০ হাজার টাকা দিয়ে বের হয়ে আসেন জানিয়ে ওসি বলেন, ওই এনজিও কর্মকর্তা স্থানীয় কয়েকজনকে জানালে তারা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা মহসীন বলেন, “চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে স্বীকার করেছে। তবে অনেকে পারিবারিক এবং সামাজিক মর্যাদার কারণে অভিযোগ করেননি।”
চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।