Published : 17 May 2025, 12:49 AM
ঢাকার মোহাম্মদপুরে এক যুবককে ছুরি মেরে ও জিগাতলায় আরেকজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর জাফরাবাদ পুলপাড় ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে হত্যাকাণ্ড দুটি ঘটে বলে পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন।
নিহত একজন নূর ইসলাম। ২৪ বছরের এ যুবক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবি তুলতেন। বরিশালের আগৈলঝড়ার সুজনকাঠি গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে নূর ইসলাম ঢাকায় শংকর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় থাকতেন।
নিহত আরেকজন সামিউর রহমান আলভী (২৫) ধানমন্ডির ডা. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকতেন হাজারীবাগ বিডিআর ৫ নম্বর গেইট এলাকায়। তার বাবার নাম মশিউর রহমান।
আলভীকে জিগাতলায় কুপিয়ে হত্যার পাশাপাশি তার চার বন্ধু ইসমাইল, জাকারিয়া, দৃশ্য ও আশরাফুলকেও কোপানো হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৫। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মেহেদি হাসান বলেন, “একটা ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন খুন হয়েছেন। ঘটনাটি জাফরাবাদ এলাকায়। ঘটনাস্থলটি মোহাম্মদপুর না হাজারীবাগ থানায়, তা আমরা দেখছি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি।”
আর জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলভীকে হত্যার বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিকভাবে জেনেছি আলভী পড়াশোনা করে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ধানমন্ডি লেকে তাদের দুটো গ্রুপের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের ধানমন্ডি লেক থেকে ধাওয়া করে জিগাতলা এলাকার একটি গলির ভেতর নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ গ্রুপের ১৫-২০ জন সদস্য।
“সেখানে আলভীসহ চারজনকে কোপানো হয়। চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এই দুই গ্রুপের সদস্য কারা- এ প্রশ্নে ওসি বলেন, “আমরা এখনও ওদের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারিনি।”
আলভীর বন্ধু ইসমাইল বলেন, তারা পাঁচ বন্ধু জিগাতলা এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের ১৫-২০ জন উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেখান থেকে আলভীকে উদ্ধার করে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে ছুরিকাঘাতে নিহত ফটোগ্রাফার নুর ইসলামের বড় ভাই উসমান গনি বলেন, “মোহাম্মদপুর পুলপাড় এলাকায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে দুটি ক্যামেরা নিয়ে যায়। সেখান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে লোকজন প্রথমে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।”
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, নিহত দুজনের মরদেহ এ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।