Published : 30 Jul 2024, 12:01 AM
সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনে সংঘর্ষ-সহিংসতার জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরের পর গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ওই বৈঠকে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের কাছ থেকে আনা প্রস্তাব ও সুপারিশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তুলে ধরা হবে জানিয়েছেন মেয়র।
সভায় আন্দোলনে আহত এবং নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া, শিক্ষার্থীদের আইনগত সহায়তা দেওয়া, কঠোর না হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি কোমল ব্যবহার করা এবং কীভাবে পাঠদান শুরু করা যায় সে বিষয়টিসহ ১২টি সুপারিশ এসেছে।
মেয়র বলেন, “আজ আমরা প্রথম সভা করলাম। সভায় কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল তা অনুসন্ধান করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষকরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি কীভাবে আবার সুন্দর করে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে আসতে পারে, সেই বিষয়ে আমরা (ডিএনসিসি) সরকারকে সহযোগিতা করব।
“কীভাবে শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা যায় সেই বিষয়ে উপাচার্য ও অধ্যক্ষদের কাছ থেকে বিভিন্ন সুপারিশ এসেছে।”
আহত শিক্ষার্থীদের অনেকের পরিবার আতঙ্কের মধ্যে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের কাছে শিক্ষকরাও যেতে পারছেন না, তারাও আতঙ্কে আছেন। তারা এ বিষয়ে একটা নিশ্চয়তা চেয়েছেন যেন শিক্ষার্থীদের কাছে তারা যেতে পারেন।”
মেয়র আতিকুল বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের পাশে ডিএনসিসিও দাঁড়াতে প্রস্তুত।
সভা শেষে ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য শামস রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মনে হয় ডিএনসিসি এলাকায় যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য মেয়রকে বলা হয়েছে। আমরা সভায় বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। আমাদের বক্তব্য তাদের জানিয়েছি।”
প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “মেয়র মহোদয় সবকিছুই বলেছেন। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে তাদেরকে (শিক্ষার্থী) হ্যান্ডেল করতে হবে খুবই সফটলি।
“তাদের ওপর কোনো প্রেসার দেওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীরা এখন মেন্টাল ট্রমায় আছে, সেটা কীভাবে ওভারকাম করা যায় সে বিষয়ে কাউন্সেলিং করা যায়, সেটা আমরা করব। এই বিষয়গুলোই আমরা বলেছি।
“আমরা বলেছি আজকে কেন এই পরিস্থিতিতে আসলাম এর একটা থরো ইনভেস্টিগেশন প্রয়োজন। এটা যদি আমরা বুঝতে পারি তাহলে বোঝা যাবে কোন কোন জায়গায় ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।”
সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান,বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।