Published : 04 May 2023, 09:17 PM
ভবনের মালিক কিংবা স্থপতি, অগ্নিদুর্ঘটনা যার কারণেই ঘটবে, তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে বলেছেন স্থানীয়র সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি নগর সংলাপে তিনি বলেন, “রাজধানীতে অবকাঠামো নির্মাণে আইন না মানলে শাস্তি পেতে হবে। অগ্নিসহ যে কোনো দুর্ঘটনায় ভবন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়, জেলে পাঠানো হয়। অন্যদিকে এ ভবন যিনি নকশা পরিকল্পনা করেছেন, ভবনের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট ছিলেন তাদের কিছুই হয় না। এটা এক প্রকার অন্যায়।”
মন্ত্রী বলেন, “ইঞ্জিনিয়ার, আর্কিটেক্ট বা ভবনের মালিক যার অবহেলায় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটবে তাকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
এর পাশাপাশি জনসচেতনতায় জোর দিয়ে তিনি বলেন, “অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতাও জরুরি। অবকাঠামো নির্মাণে সব আইন যথাযথভাবে অনুসরণ করার বিকল্প নেই। সেজন্য একটি এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তাঘাট, জলাধার ও উন্মুক্ত স্থান থাকতে হবে।”
‘বারবার অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ: প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক নগর সংলাপটির আয়োজক নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম। ফোরামের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পড়েন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানারসের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ সংলাপে অংশ নেন।