Published : 01 Sep 2024, 07:10 PM
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পাশাপাশি মন্নুজানের এপিএস ও ছোট ভাই মো. সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
রোববার তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তথ্য দিয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, প্রকল্পে অনিয়মসহ দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্য আমলে নেওয়া হয়েছে বলে তুলে ধরেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত হন অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। ২০১৮ সালেও একই আসন থেকে জয়ী হন তিনি।
অভিযোগে বলা হয়েছে, শ ম রেজাউল আওয়ামী লীগের আমলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
বরিশালের নাজিরপুর, পিরোজপুর এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্থাবর সম্পদ রয়েছে রেজাউলের। অভিযোগ রয়েছে, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন নামক প্রকল্প এর আওতায় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং প্রশিক্ষণের নামে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ, একটি গাড়ি, ব্যাংকে জমা টাকা ছাড়া দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ রয়েছে তারা।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শ ম রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের সঠিকতা পরিলক্ষিত হওয়ায় এটি প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য অনুমোদন করেছে দুদক।
অন্যদিকে মন্নুজান সুফিয়া ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের টিকেট পাননি।
অভিযোগ আছে, মন্নুজান তার এপিএস ও ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে শামীমা সুলতানা হৃদয়, বোনের ছেলে ইয়াছির আরাফাত পৃথিবী ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যক্রমসহ নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
মন্নুজান তার নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় ১০ নম্বর সেক্টরে রাজউকের ৫ কাঠা জমি, খুলনার দৌলতপুরে তিন তলা বাড়ি, ২টি গাড়ি, কেডিএর মৌথুরী হাউজিংয়ে ১৬.০৭ কাঠা জমি কিনেছেন। বিভিন্ন নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির মাধ্যমে তার এপিএস ছোট ভাই সাহাবুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের মেয়ে হৃদয়, বোনের ছেলে পৃথিবী কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে।