Published : 11 Jun 2025, 12:50 AM
মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে শেখ হাসিনার ভাগ্নি ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তা হাতে পাওয়ার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে মঙ্গলবার প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, চিঠির জবাব দেওয়া না দেওয়ার বিষয়টি ‘আইনিভাবে সমাধান’ করা হবে।
চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে আসেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সফরেই ইউনূসের সঙ্গে বসার ইচ্ছা জানিয়ে চিঠি পাঠানোর কথা বলেন টিউলিপ।
দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে তৈরি হওয়া ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করার আশায় এ সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এই ব্রিটিশ এমপি। চিঠিতে তিনি ইউনূসকে হাউস অব কমন্সে মধ্যাহ্নভোজ বা বিকালে চা পানের আমন্ত্রণ জানান।
এর মধ্যে মঙ্গলবার লন্ডনের ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিবের কাছে টিউলিপের চিঠির প্রসঙ্গে জানতে চান এক সাংবাদিক।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি চিঠি পেয়েছি।’’
চিঠির জবাব দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ‘‘চিঠির বিষয়টি আইনি এবং এটি আইনিভাবে সমাধান করা হবে।’
অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপে টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন কিনা জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, ‘‘না, টিউলিপ সিদ্দিক ছিলেন না।’’
টিউলিপের চিঠি পাঠানোর খবরটি বাংলাদেশের বেশির ভাগ সংবাদমাধ্যমে আসে রোববার; প্রধান উপদেষ্টার সফর শুরুর একদিন আগে।
সেদিন অবশ্য প্রেস সচিব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত তার কোনো চিঠি হাতে পাইনি।”
একই বক্তব্য তিনি নিজের ফেইসবুক পেইজেও তুলে ধরেন।
সেদিন টিউলিপের ঘনিষ্ঠ একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের লন্ডন প্রতিনিধি সৈয়দ নাহাস পাশাকে বলেন, ৪ জুন চিঠিটি পাঠানো হয়। তবে কোনো সাড়া পাননি।
ওই ব্যক্তি বলেন, “দুদক কেন পেছনে লেগেছে টিউলিপ তা বুঝতে পারছেন না। তারা লন্ডনে যোগাযোগ না করে ঢাকায় সুধা সদনের ঠিকানায় চিঠি পাঠাচ্ছে।
“টিউলিপ এখন মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সবকিছু তাকে বুঝিয়ে বলতে চান। সমস্ত কাগজপত্র তার কাছে আছে, সেগুলো তিনি দেখাতে চান।”
চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, “আমি আশা করি এই বৈঠকের মাধ্যমে ঢাকায় দুর্নীতি দমন কমিশনের সেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করা সম্ভব হবে— যার মাধ্যমে আমার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।”
টিউলিপ লন্ডনের হ্যাম্পস্টিড অ্যান্ড হাইগেট আসনে লেবার পার্টির এমপি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মধ্যে গত জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
তার খালা, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই মানবতাবিরোধী অপরাধে তার বিচারের উদ্যোগ এগিয়ে নিচ্ছে ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি কয়েকটি দুর্নীতি মামলাও দায়ের করা হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে, যেখানে টিউলিপের নামও এসেছে।
আরও পড়ুন