Published : 10 Apr 2025, 06:37 PM
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও তার স্বামীর ৪৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধে আদেশ দিয়েছে আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে কামরুল ইসলামের ২৩ হিসাবে ২ কোটি ৪২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৩ টাকা, দীপু মনির ১৮টি হিসাবে ৬ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫৬ টাকা ও তাওফিক নেওয়াজের চারটি হিসাবে ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৩৫ টাকা থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
কামরুল ইসলামের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার চেষ্টা চলছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সেগুলো অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি কামরুল ইসলামের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ১৫ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেয় একই আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকার উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৯ নভেম্বর তাকে নিউ মার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে।
অপরদিকে দীপু ম নির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়, তিনি ‘তৈমুর নাওয়াজ’ ও ‘জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ’ নামে হিসাবের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাবসমূহে বিপুল সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সেগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
তার স্বামীর বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, তাওফিক নেওয়াজ ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। ফলে সেগুলো সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবিলম্বে অবরুদ্ধে করা প্রয়োজন।
গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ১৯ অগাস্ট বারিধারা এলাকা থেকে দিপু মনিকে গ্রেপ্তারের দফায় দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে।