Published : 08 Oct 2023, 01:43 PM
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এছাড়া মামলার ১৩ আসামির প্রত্যেককে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রোববার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতির কোনো মামলায় এবারই প্রথম পি কে হালদারের সাজার রায় এলো।
আসামিদের মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারীর উপস্থিতে রায় দেন বিচারক।
পলাতক রয়েছেন ১০ জন। এরা হলেন- পিকে হালদার, তার মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
মামলায় মোট ১১৪ জন সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত বুধবার দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর তারিখ ঠিক করে দেন।
ওইদিন যুক্তি উপস্থাপন করে দুদকের আইনজীবী আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, দুদক অভিযোগ ‘প্রমাণ করতে পারেনি’, আসামিরা খালাস পাবেন বলে তাদের বিশ্বাস।
দুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি এ মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এছাড়া, ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেছেন।
তদন্ত শেষে পিকে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। সেখানে পাচার করা অর্থের পরিমাণ ৪২৫ কোট টাকা দেখানো হয়।
২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় আসামিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন
অবৈধ সম্পদের মামলায় পিকে হালদারের রায় ৮ অক্টোবর