Published : 07 May 2025, 11:07 PM
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্তঃবিভাগের ভেতর এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলির জন্য অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার থেকে তারা এ আবেদন করতে পারবেন, যা করা যাবে ১০ মে পর্যন্ত।
এরপর ১১ থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তা যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বদলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আদেশ দেবেন।
তবে কবে এ আদেশ জারি হবে তা সুস্পষ্টভাবে অধিদপ্তরের তরফে বলা হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন বুধবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ আবেদন গ্রহণ শুরু হবে।
এ বিষয়ক আদেশে বলা হয়, ১১ মের মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের করা বদলির আবেদন যাচাই করতে হবে প্রধান শিক্ষকদের।
এরপর ১২ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত সহকারী উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা বদলির আবেদন যাচাই করার সুযোগ পাবেন। ১৪ থেকে ১৫ মে শিক্ষকদের বদলির আবেদন যাচাই করবেন উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তারা। ১৬ থেকে ১৭ মে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা সহকারী শিক্ষকদের বদলির আবেদন যাচাই ও অগ্রায়ণ করবেন। ১৮ থেকে ১৯ মে বিভাগীয় উপ পরিচালক শিক্ষকদের আবেদন যাচাই করে পরর্বর্তী পদক্ষেপ নেবেন। পরদিন ২০ মে সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয় মনোনয়ন দেওয়া। শেষ ধাপে ২১ থেকে ২৩ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের আন্তঃবিভাগ বদলির আবেদন যাচাই ও অনুমোদন দেবেন।
আবেদনে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা সর্বোচ্চ ৩টি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে শুধু একটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন।
অপরদিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিলের জন্য কোনো আবেদন করা যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২১৬টি উপজেলা বা থানায় ইতোমধ্যে ১০ শতাংশের বেশি শিক্ষক বদলি হয়ে এসে পড়েছেন। এ কারণে ২১৬টি উপজেলার শিক্ষকদের আন্তঃজেলা বদলির আওতার বাইরে রেখে বাকি ২৭১ উপজেলায় বদলির কার্যক্রম চলবে।
এর ব্যাখ্যায় সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিয়ম অনুয়ায়ী কোনো উপজেলায় ১০ শতাংশ শিক্ষক বদলি হয়ে আসতে পারেন। ২১৬টি উপজেলায় তা পূরণ হওয়ায় সেগুলোর স্কুলগুলোতে কোনো শিক্ষক আন্তঃবিভাগ বদলির আবেদন করতে পারবেন না।
“বাকি ২১৭টি উপজেলার স্কুলগুলোতে সারাদেশের শিক্ষকরা বদলির আবেদন করতে পারবেন।”