Published : 19 Jun 2024, 09:22 PM
আটতলা বাড়ির সাততলার কার্নিশে জড়োসড়ো হয়ে আছে এক কিশোরী, নামতেও পারছে না, উঠতেও পারছে না; হাত-পা ফসকে নিচে পড়ার ঝুঁকিতে সে।
কার্নিশে জীবন ঝুঁকিতে থাকা মেয়েটিকে চোখে পড়ে তাদের এক প্রতিবেশীর। তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি বুধবার সকালের, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের একটি বাড়ির।
মেয়েটি কেন, কীভাবে কার্নিশে গেল; তাকে উদ্ধারের পর সেসব জানতে পেরেছে পুলিশ।
৯৯৯ সেবার জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য জানালার কার্নিশ বেয়ে পালাতে চেয়েছিল ওই কিশোরী।
আনোয়ার সাত্তার জানতে পেরেছেন, বসুন্ধরার বি-ব্লকের ওই বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা দাদির সঙ্গে থাকত মেয়েটি। তার বাবা মারা গেছেন, মায়ের আবার বিয়ে হয়েছে। অনেক দিন ধরে মেয়েটি তার মায়ের কাছে যেতে চাইছিল কিন্তু বাধ সাধেন তার দাদি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তার দাদি তাকে বাসা থেকে বের হতে না দিলে মেয়েটি জানালার কার্নিশ বেয়ে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কার্নিশে নামার পর আর সে নিচে বা ওপরে যেতে পারছিল না; সেখানে বসে ছিল। সেখান থেকে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল।
কার্নিশে বসা অবস্থায় কেউ কেউ মেয়েটির ছবি তোলে, যা পুলিশের হাতে এসেছে, সেগুলো দেখলেও বোঝা যাচ্ছে সেখান থেকে পড়ে গেলে ঘটতে পারত খারাপ কিছু।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯৯৯ এ ফোন এলে সেখান থেকে বিষয়টি বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং ভাটারা থানাকে অবহিত করা হয়। পুলিশের উপস্থিতিতে ফায়ার সার্ভিস সাততলার ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জানালার গ্রিল কেটে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ভাটারা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাকারিয়াস দাস বলেন, মেয়েটার বাড়ি নেত্রকোণার পূর্বধলা থানায়। বসুন্ধরা আবাসিকে পারভীন আক্তারের বাসায় দাদির সঙ্গে থেকে সেও কাজ করত। মায়ের কাছে যাবে বলে সে দীর্ঘদিন ধরে তার দাদিকে বলে আসছিল। কিন্তু যেতে না পারায় সে কার্নিশ বেয়ে চলে যাওয়ার পথ বেছে নেয়।
পারভিন আক্তারের স্বামী দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বাসায় আছেন বলে জানতে পেরেছেন মাকারিয়াস দাস।