Published : 18 Jun 2025, 02:09 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
এই মামলার শুনানিতে আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পর তুরিন আফরোজকে পাওয়া গেছে হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায়। এ সময় তার হাতে দেখা গেছে মেহেদির নকশা।
বুধবার তদন্ত কর্মকর্তার শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম এম. মিজবাহ উর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই আব্দুস সালাম গত ৬ জুন তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য এ দিন ঠিক করেছিলেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তুরিন আফরোজকে মাথায় হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় তাকে হাসিখুশি অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া তুরিন আফরোজের কপালে কালো টিপের পাশাপাশি বাম হাতে ছিল মেহেদির নকশাও।
মামলার শুনানির সময়েও তার মুখে হাসি দেখা গেছে।
পরে আদালত তুরিন আফরোজের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করলে পুলিশি পাহাড়ায় ১১ টা ৫ মিনিটের দিকে ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটরকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখনো তুরিন আফরোজের মুখে ছিল হাসি।
এই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১২ বছর বয়সী আরাফাত হুসাইন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার ৫ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের জামিয়া রওযাতুল উলুম মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণিতে পড়ত। সরকার পতনের দিন গত ৫ অগাস্টে সকাল ৮টা থেকে হুসাইন ওই এলাকয় সরকার পতনের আন্দোলনে যোগ দেয়।
এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় হুসাইন। পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মো. হাসান আলী উত্তরা পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পরদিনইএক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
এরপর ২১ এপ্রিল মিরপুরের গোল চত্বর এলাকায় আন্দোলনের মধ্যে গুলিতে আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী নিহতের মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর দুইদিন পর ২৩ এপ্রিল উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর থেকে কারাগারে আছেন তিনি।