Published : 16 Jul 2024, 01:49 AM
পাল্টাপাল্টি অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষ ও হামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জোরালো অবস্থান নিতে দেখা গেছে; রাতে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
সোমবার বিকালের কয়েক ঘণ্টার মারামারি ঢাকা মেডিকেলের সামনে ও শহীদুল্লাহ হল এলাকায় শেষ হলেও রাতে এর রেশ রয়ে যায়।
সন্ধ্যার কিছু আগে পুলিশ এসে হলগুলোতে অবস্থান নিলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ফিরতে থাকেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও ক্যাম্পাসের মধ্যে দল বেঁধে অবস্থান নেন। রাতে বিভিন্ন হলে তাদের তৎপরতা বাড়তে দেখা যায়।
অপরদিকে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর কোটা সংস্কার আন্দোলনের একটি অংশ জোট বেঁধে শহীদ মিনারের দিকে রওনা দেয়। পরে তারা পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।
পুলিশের বাধায় বেশিদূর যেতে না পারে কার্জন হলের কাছে সড়কে আন্দোলনকারীরা হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবারের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। দেশজুড়ে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিকাল ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে তারা।
ঢাকা ব্শ্বিবিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিকাল ৩টায় তারা বিক্ষোভ ও সমাবেশ করবে।
অন্যদিকে একই স্থানে বেলা দেড়টায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগও।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ব্ক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোববার রাতে বিক্ষোভের পরদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে; বিকালে তা রূপ নেয় রণক্ষেত্রে।
আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া এক পর্যায়ে রূপ নেয় সংঘর্ষে।
এরমধ্যে বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদদীন হল, বিজয় একাত্তর হল এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের পেটাতে শুরু করেন হেলমেটে পরিহিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। সংঘাত চলে উপাচার্যের বাসভবনের কাছাকাছি থেকে টিএসসি পর্যন্ত। পরে তা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদুল্লাহ হলের কাছেও ছড়িয়ে পড়ে।
রাতে হলে মারধরের অভিযোগ
এর কয়েক ঘণ্টা পর রাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একে একে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হয়রানি এবং মারধর করে হল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করতে থাকেন।
রাত ১০ টার পর থেকে স্যার এ এফ রহমান হল,বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মাস্টার দা সূর্যসেন হলসহ বেশ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন চেক করে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এতে হলগুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এ এফ রহমান হলের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, হলের ছয়জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা। তিনজনকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
মারধরের শিকার ভুক্তভোগীরা হলেন- ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বাসিত, শাখাওয়াত হোসেন সাকু, লিমন খান রানা, মোর্শেদ ইসলাম। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ফারুক হোসেন ও তাওহীদ ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, শাখাওয়াত ও বাসিতকে খুব বেশি মারা হয়েছে। শাখাওয়াতকে রুমে গিয়ে মারা হয়েছে। আর বাসিত হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, তখন ফোন চেক করে মারধর করা হয়। লিমন, শাখাওয়াত ও মোর্শেদকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার বলেন, ”বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিচ্ছি।”
এদিকে বিভিন্ন হলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলে কেউ ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফটকে অবস্থান নিয়ে তাদের চার্জ করেন। কোটা আন্দোলনে যুক্ত আছে কি না, তাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট যাচাই করেন। কয়েকটি হলে মাইকিং করে কোটা আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। আতঙ্কে অনেকে হল ছেড়ে যাচ্ছেন।
বিজয় একাত্তর হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, ”আমি টিএসসি থেকে হলে আসছিলাম। ছাত্রলীগ আমাকে হল গেটে আটকায় এবং কোটা আন্দোলনের গ্রুপে থাকায় আমাকে পেছন থেকে বাঁশ ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। পরে আমার পরিচিত এক ভাই আমাকে সেখান থেকে নিয়ে আসে। আমার চোখে তারা প্রচণ্ড আঘাত করেছে।
”শুধু আমাকেই নয়, অনেক শিক্ষার্থীকে তারা চার্জ করে মারধর করেছে।”
এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল বাছির বলেন, “আসলে ছাত্রদের এ বয়সে রক্ত গরম থাকে, তাই হয়ত তারা একাজ করেছে। আমি তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীরা কেউ অভিযোগ দিলে আমরা পদক্ষেপ নেব।”
মারধরের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের বক্তব্য জানতে পারেনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট্কম।
সংঘর্ষ থামল যখন
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সংঘর্ষ ছড়ায় ঢাকা মেডিকেলের সামনে, শহীদুল্লাহ হল এলাকায়।
ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীদের অনেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিনটি আবাসিক হলে আশ্রয় নেয়। এখানে পাশাপাশি থাকা শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক হল আর অমর একুশে হলের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর কমিটির নেতাকর্মীরাও ছিল।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত শহীদুল্লাহ হল এলাকায় থেমে থেমে ইট-পাটকেল ছোড়াছুঁড়ি চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
পুলিশ ক্যাম্পাসে ঢুকলে হলগুলোতে আবাসিক শিক্ষকদের তৎপরতা দেখা যায়।
শিক্ষকেরা ছাত্রদের শান্ত হয়ে হলে ঢুকতে অনুরোধ করলেও তারা বারবার বলতে থাকে “যখন হলে ঢুকে ছাত্রদের মারা হচ্ছিল তখন কেন শিক্ষকেরা এগিয়ে আসেননি?” এসময় শিক্ষকদের বকাবকিও করেন ছাত্ররা।
শহীদ মিনারে যেতে বাধা, সড়কে সংবাদ সম্মেলন
রাত ৯টায় পরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সম্বয়করাসহ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যেতে চাইলে কার্জন হলের সামনের রাস্তায় তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) লিটন কুমার সাহার নেতৃত্বে পুলিশ তাদের সামনে যেতে বাধা দেয়।
লিটন কুমার বলেন, “তোমরা সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছ, এখন হলে ফিরে যাও। তাহলে আমরাও ফিরে যেতে পারি। আমরা সারাদিন অনেক ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করেছি, তোমরা দেখেছ। এখন তোমরা আমাদের কথা শুন।”
জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের ক্যাম্পাসে ঢুকে বহিরাগতরা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। তাদের পুলিশ ঠেকাতে পারে না, ছাত্রদের কেন আটকাচ্ছে।
পুলিশের বাধার মুখে শেষ পর্যন্ত তারা সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করে।
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের কর্মসূচি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মারামারির পর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।
মঙ্গলবার বেলা ৩টায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা এ কর্মসূচি পালন করবে।
কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং হামলাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে তারা।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশের নিরাপত্তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল সংলগ্ন সড়কে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
ছাত্রীরাও আহত, বাস থেকে নামিয়ে মারধর
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্রীও ছিল। এদের কারও মাথা ফেটে গেছে, কারও হাত-পা ভেঙেছে বলে সন্দেহ, কাউকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।
আহত ছাত্রীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের ধাওয়ায় মল চত্বর থেকে দৌড়ে তারা উপাচার্যের বাসভবনের (ভিসি চত্বর) দিকে যান। তাদের পিছু ধাওয়া করছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের কিছু বহিরাগত নেতাকর্মী। ভিসি চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিআরটিসির একটি ডাবল ডেকার বাস দাঁড়িয়েছিল। আত্মরক্ষার্থে সেই বাসে উঠে পড়েন ৫০-৬০ জন ছাত্রী। তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে এনে পেটাতে থাকে বহিরাগত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সেসময়ে মেয়েরা জুতা, ব্যাগ, ছাতা ফেলে কোনোমতে দৌড়ে পালাতে থাকেন। কেউ ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারের দিকে, কেউ পলাশীর দিকে, কেউ নীলক্ষেতের দিকে চলে যান। এ সময় কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রী তানজিলা তাসনীম বলেন, “ভিসি চত্বরে মৈত্রী হলের এক মেয়ের হাতে ইট-পাটকেল লাগার কারণে নড়তে পারছিল না। ফলে আমি ওকে ছেড়ে আসতে পারিনি। এ সময় হেলমেট পরা কয়েকজন এসে আমাদের সরে যেতে বলেছে। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করব। আমি বলেছিলাম, আমি জাস্ট যৌক্তিক আন্দোলনে ছিলাম।
”তারপর উনি আমার ডান হাত মুচড়ে দিয়েছে। আমরা এখন ওই মেয়েকে নিয়ে মেডিকেলে এসেছি। আমার খারাপ লাগছে, নিজ ক্যাম্পাসে এভাবে হামলার স্বীকার হয়েছি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানা আক্তার বলেন, “আমরা নারী শিক্ষার্থীরা অনেকে দৌড়ে পালাতে পারিনি। ছাত্রলীগের কর্মীরা হেলমেট পরে আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করেছে, লাঠিপেটা করেছে।”
হাসপাতালে ২৯৭ জনের চিকিৎসা, ভর্তি ১২
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা মেডিকেল প্রতিনিধি ঘটনাস্থল থেকে জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আহত প্রায় তিনশ আন্দোলনকারী চিকিৎসা নিতে আসেন। এদের বয়ে নিয়ে আসা সহযোগীরাও হাসপাতাল চত্বরেই অবস্থান করছিলেন। ছাত্রলীগের হামলায় তারা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
বেলা সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে একসঙ্গে আহত অনেকে আসেন। রিকশায়, অটোরিকশায় একেকজনকে ধরে নিয়ে আসছিলেন কয়েকজন। ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই হইচই, কান্না, চিৎকারে ভরে যায় মেডিকেলের জরুরি বিভাগ।
আহতদের মধ্যে দৈনিক জনকণ্ঠের একজন ফটো সাংবাদিকও ছিলেন। বাকিদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। আহতদের পর্যবেক্ষণ কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, সংঘাতে আহত হয়ে ২৯৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন ভর্তি রয়েছেন। বাকিরাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি ১২ জন হলেন- ইয়াকুব, কাজী তাহসিন, ফেরদৌস অমি, আমিনুর, শুভ, গিয়াস উদ্দিন, নাসির, মেহেদী, অপি, সিয়াম, হাসিব, ও নির্মাকেট থানা ছাত্রলীগের সাজেদুল হাসান ফাহাদ।
ঢাকা মেডিকেলে তিন দফায় হামলা
দফায় দফায় সংঘর্ষ ও হামলায় আহত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও তাদের ওপর তিন দফা চড়াও হন ছাত্রলীগের কর্মী-সমর্থকেরা।
সোমবার বিকাল ৫টার দিকে প্রথম দফায় হামলার পর অতিরিক্ত আনসার মোতায়েন করেও পরের দুই দফা আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেসময় হাসপাতালজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে; চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনেরা দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন।
এরপর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে একের পর এক আসতে থাকে রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা।
তবে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও নিস্তার মেলেনি তাদের। সেখানেও কয়েক দফা তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা
কোটাবিরোধীদের নিবৃত করতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও দিনের বড় সময়জুড়ে অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
বেলা ১২টার পর থেকে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। টিএসসি সংলঘ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে জড়ো হতে থাকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সন্ধার পরে তারা বসেন মুধুর ক্যান্টিনে।
তাদের মধ্যে ক্যাম্পাস প্রদিক্ষণ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার চৌধুরী রোটন, সিদ্দিকী নাজমুল আলম ও এসএম জাকির হোসেন, সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগকের কেন্দ্রীয় সভাপতি গাজী মেজবাউল হক সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান।
সব শেষ রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা ও সাবেচ্ছাসেবক লীগের শীর্ষ নেতারা চলে যাওয়ার পর অন নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে বাসায় ফিরে যান।
কোটা: সংঘর্ষ-হামলায় আহত ২৯৭ জনের চিকিৎসা, ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ১২
কোটা: হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের ডাক
ঢাবিতে সংঘর্ষ: সাংবাদিকসহ আহত শতাধিক, ঢাকা মেডিকেলে ভিড়
ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পিটুনিতে ছত্রভঙ্গ কোটাবিরোধীরা
ট্রেন থেকে নামিয়ে চবির কোটা আন্দোলনের নেতাকে মারধর, সংঘর্ষ
কোটা: মধ্যরাতের নির্জনতা ভেঙে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ-স্লোগান
'কোটার সমাধান আদালতে', অশান্তি হলে আইন চলবে 'নিজের গতিতে
'তারা এ যুগের সাচ্চা রাজাকার': ফেইসবুকে ক্ষোভ মন্ত্রীদের
রাজাকারদের ভূমিকা এরা জানে? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর