Published : 07 May 2025, 02:22 PM
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও বহিষ্কৃত সহসভাপতি এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদারের আদালতে মামলার বাদী র্যাব-১ এর তৎকালীন ডিএডি আব্দুল খালেক সাক্ষ্য দেন।
আগামী ১৫ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা এই মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়।
২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সেদিন বিকালে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
ওইদিন প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ১১৬০টি ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া এবং ‘নির্যাতন করার’ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ) আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর রমনা থানায় করা হয়েছিল মাদক নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র আইনের দুই মামলা।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ পত্র জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক। এ মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আর মাদক মামলায় ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আব্দুল হালিম।