Published : 09 Oct 2023, 10:47 PM
লাইসেন্স ছাড়া এবং ফেরি করে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ নতুন আইনের যে খসড়া করেছিল, তা অনুমোদন না নিয়ে অংশীজনদের মতামত নিয়ে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুশাসন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০২৩ এর খসড়া পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়েছিল।
মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, “কেবিনেট থেকে বলা হয়েছে আইনের খসড়াটি আরও পরীক্ষা করা দরকার।”
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধন করে ভ্রাম্যমাণ দোকান বা ফেরি করে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। পাবলিক প্লেস এবং গণপরিবহনে ধূমপানের সাজা বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয় খসড়া আইনে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়া ছাড়া তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন না। লাইসেন্স ছাড়া তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করলে দণ্ড দ্বিগুণ হবে।
ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নিকোটিনযুক্ত বা নিকোটিন ছাড়া ফ্লেভারযুক্ত পদার্থকে উত্তপ্ত করে ধোঁয়া, বাষ্প বা অ্যারোসল তৈরি করে এবং শ্বাসের সঙ্গে মুখে টেনে গ্রহণ করা হয় এমন ইলেকট্রনিক বা ই-সিগারেট, ই-হুক্কা ও এ ধরনের ডিভাইস পাবলিক প্লেসে ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে।
ই-সিগারেট, ভ্যাপ, ভ্যাপিং, ভ্যাপার, হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্টস বা ইমার্জিং টোব্যাকো প্রডাক্টস যে নামেই অভিহিত হোক না কেন এসবের উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, সংরক্ষণ, বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা, প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা, বিপণণ, বিতরণ, কেনাবেচা ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে এতে।
আইনের খসড়া করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত কমিটিতে পাঠানোর পর ওই ১০টি পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল। সেগুলো পূরণ করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ফের ওই কমিটিতে খসড়াটি পাঠায়। এরপর আইনের খসড়াটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় তোলা হয়েছিল।