Published : 06 Mar 2024, 04:40 PM
মিয়ানমারে সংঘাত চললেও সীমান্তের এপারের পর্যটকদের জন্য পার্বত্য এলাকাকে ‘নিরাপদ’ জানিয়ে সবাইকে ভ্রমণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোথাও অনিরাপদ নয়। যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন পার্বত্য এলাকা, দেখতে পারবেন। অনেক ভালোও লাগবে।”
চারদিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষদিনে বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একটি অধিবেশনে অংশ নেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
গত বছর রুমা, থানচিসহ কয়েকটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে দফায় দফায় কিছু পর্যটন এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল। পরবর্তীতে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও সম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আঁচ এসেছে পড়েছে সীমান্তের এপারেও।
এই পরিস্থিতিতে পর্যটন এলাকা কতটুকু নিরাপদ প্রশ্নে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, “এখন আপনারা সবাই ঘুরে আসতে পারেন। কোথাও সমস্যা নেই।”
পাবর্ত্য এলাকায় বনভূমি উজাড় হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সুপেয় পানির সংকট দেখা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক যে পানির উৎস সেটা শুকিয়ে যাচ্ছে। হাট, বাজারসহ যেখানে পানির সমস্যা সেখানে পানি দেওয়ার জন্য প্রকল্প চলমান রয়েছে। অনেক পাহাড়-পর্বত হওয়ায় কিছু সমস্যা এখনো আছে।”
পার্বত্য এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে জেলা প্রশাসকরা সরব হয়েছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জেলা প্রশাসকরা বিদ্যুতের বিষয়ে বেশি বলেছেন। পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় প্রত্যন্ত অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরেও যাবে না। এর বিকল্প হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার পরিবারকে এভাবে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে।”
পার্বত্য এলাকার দীর্ঘদিনের পুরনো সমস্যা ভূমি বিরোধ নিয়ে তিনি বলেন, “ভূমি বিরোধ সমাধানে একটা আইন হয়েছে। আইনের বিধান বাকি আছে, তা করা হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে ভূমি সমস্যা সমাধানের কার্যক্রম শুরু হবে। আমাদের ভূমি কমিশন আছে। তারা শুরু করতে পারবে।”
ঢাকার বাইরে এইডিস মশার প্রকোপ বাড়ছে
আগে এইডিস মশার প্রকোপ ৯৯ শতাংশই ঢাকায় দেখা গেলেও এখন রাজধানীর বাইরের শহর-গ্রামে এই মশার বিস্তার বাড়ছে।
আগামীতে এইডিস মশার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, “মশার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কায় জেলা প্রশাসকদের ব্যবস্থা নিতে নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকার বাইরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষণ দিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই অবস্থাটা জেলা প্রশাসকদের জানিয়েছি। তাদেরকে বলা হয়েছে এখনই ইনিশিয়েটিভ (পদক্ষেপ) নিতে।
“মশা মোকাবিলা করার সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ারেরর ৯০ শতাংশ হল সচেতনতা। আর বাকি ১০ শতাংশ টেকনিক্যাল বা মেডিটেশন।”
মন্ত্রী বলেছেন, মশা নিধনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে পাঁচ কোটি টাকার ওষুধ কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জনসচেতনতায় প্রচারমূলক কাজও চলছে।
রোববার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের সম্মেলনে ২৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা। এসবের মধ্যে বেশিরভাগ প্রস্তাব এসেছে রাস্তাঘাট সংস্কার বিষয়।