Published : 17 Jan 2024, 04:49 PM
ঢাকা থেকে প্রথম লাগেজ ভ্যানে ৪ হাজার ৬০০ কেজি মালামাল নিয়ে সিলেটের পথে ছেড়ে গেছে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস।
ঢাকা-সিলেট রুটে মালামাল পরিবহনে প্রতি কেজি ২ টাকা ২২ পয়সা হিসেবে এই পণ্য পরিবহনে ১০ হাজার ২১২ টাকা ভাড়া পেয়েছে রেলওয়ে।
রোববার বেলা সোয়া ১১টায় ট্রেনটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্ম ছেড়ে যায়। রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেন ছাড়ার অনুমতি দেন।
মন্ত্রী বলেন, সবুজ শাকসবজি, মৌসুমি ফল, ফুল, অনান্য পচনশীল দ্রব্য (মাছ, মাংস, দুধ), ওষুধ ও ভ্যাকসিন রেলযোগে পরিবহনের জন্য এডিবির অর্থায়নে লাগেজ ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। এজন্য ২০১৮ সালের ২৬ জুন অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে ১২৫টি লাগেজ ভ্যানসহ (৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ) আরও অন্যান্য রোলিং স্টক (৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ, ৫৮০টি মিটারগেজ ওয়াগন ও ৪২০টি ব্রডগেজ ওয়াগন) সংগ্রহের প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওই বছরের জুলাইয়ে ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের জন্য দুটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। পরে ২০২০ সালের ৩১ অগাস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে ও চীনের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘জেভি ও সিএনটিক-রেইলটেকো-জিনশি’র সঙ্গে পৃথক দুটি চুক্তি হয়। ১২৫টি লাগেজ ভ্যান কিনতে ব্যয় ধরা হয় মোট ৩৫৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলাশহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনে লাগেজ ভ্যান যুক্ত হবে। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারবেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। রেলওয়েরও রাজস্ব আয় বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা রেল নিয়ে কোনো ব্যবসা করতে চাই না। আমরা সেবাটা দিতে চাই। আমরা আপাতত ১৬টি ট্রেনে একটি করে লাগেজ ভ্যান দিচ্ছি। চাহিদার উপর নির্ভর করে আমরা লাগেজ ভ্যান বাড়াব।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)