Published : 20 Jan 2024, 03:46 PM
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোকে সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারত্বের বিষয়ে সৎ থাকবে।”
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে বুধবার ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান: ত্বরান্বিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, জলবায়ু সঙ্কট মোকাবেলায় অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করাই সঠিক পথ।
“আমরা আশা করি, আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতার এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাবে।”
জাতিসংঘ মহাসচিবের দুটি উদ্যোগে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কোনো গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিতে প্রস্তুত।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্প মডেলিং নিয়ে দেশব্যাপী একটি প্রদর্শনী মহড়া করতে জাতিসংঘকে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু টু নিয়ে কাজ করছে, সে কথাও তিনি বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে অন্যান্য দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষতা বিনিময় করতে আগ্রহী।”
১৯৭০ সালে ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের সময় লক্ষাধিক লোক মারা গিয়েছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে তুলনায় বাংলাদেশে এখন এরকম দুর্যোগে প্রাণহানির সংখ্যা এক অঙ্কে নেমে এসেছে।
“উপকূলীয় এলাকার ৬৫ হাজার মানুষকে নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক কর্মসূচি রয়েছে আমাদের। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ একটি সমন্বিত প্রাথমিক সতর্কীকরণ পদ্ধতি চালুর জাতীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমরা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের নিয়মিত আপডেট দেওয়ার জন্য মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।”
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক দূত সায়মা ওয়াজেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদসূত্র: বাসস
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)