Published : 06 Mar 2024, 06:51 PM
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত প্রশ্নে হাই কোর্টের রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে বুধবার এ শুনানি গ্রহণ হয়। শুনানির পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে রোববার।
তৃতীয় শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ জানুয়ারি এক আদেশ দেয়; ওই আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্টে আবেদন করেন মামলার বাদী কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক।
বাদীর করা আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়।
রুলে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভেকেট আবদুল্লাহ আল মামুন ও খাজা তানভীর আহমেদ।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা ওই মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে গত ১ জানুয়ারি রায় দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই আপিল সেদিন শুনানির জন্য গ্রহণ করে এবং তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় গত ৩ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করে চারজনকে জামিন দেয়।
সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
শ্রম আদালতের রায় ও আদেশ স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের অংশবিশেষের বৈধতা নিয়ে হাই কোর্টে রিভিশন করেন মামলার বাদী। আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট রুলসহ আদেশ দেয়, যার ওপর বুধবার শুনানি হয়।
শুনানিকালে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “রায়ের দুটি দিক থাকে – একটি কনভিকশন ও অন্যটি সেনটেন্স। আপিল ট্রাইব্যুনাল দুটিই স্থগিত করে দিয়েছেন। কনভিকশন (দোষী সাব্যস্তকরণ) স্থগিত হয় না। অনেক সময় সেনটেন্স (দণ্ড) স্থগিত হয়। তবে কারণ উল্লেখ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। আপিল ট্রাইব্যুনাল পুরো রায় স্থগিত করতে পারেন না। এটি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত ও ফৌজদারি কার্যবিধির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।“
আদালত ইউনূসের আইনজীবীকে মধ্যাহ্ন বিরতির পর বেলা ২টায় বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য বললে ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন আগামী সপ্তাহে বক্তব্য উপস্থাপনের সময় নির্ধারণের অনুরোধ জানান। তখন আদালত আগামী রোববার দিন রাখে।
আরও পড়ুন: