Published : 01 Mar 2024, 01:43 PM
মেয়েকে নিয়ে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের বিরিয়ানির দোকান কাচ্চি ভাইয়ে খেতে গিয়েছিলেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক লুৎফুন নাহার করিম লাকী, ছেলের সামনে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় বাড়িতেই রেখে যান তাকে।
আগুন লাগার পর ওই ভবনে আরও অনেকের সঙ্গে আটকা পড়েন তারাও, আরও অনেকের সঙ্গে পুড়ে মারা যান মা-মেয়ে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল শাখার প্রভাতির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ছিলেন লাকী, আর তার মেয়ে জান্নাতিন তাজরী নিকিতা পড়তেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিকিতাও ভিকারুননিসায় লেখাপড়া করেছেন।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মূল শাখার কলেজ মাঠে তাদের জানাজা হয়।
শুক্রবার কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও শিক্ষক প্রতিনিধি ফারজানা খানম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি আর লাকী একসঙ্গে জয়েন করেছিলাম। উনি খুব হাসি-খুশি একটা মানুষ ছিলেন। তিনদিন আগেও দেখা হলে, কথা হল। এভাবে ওনার মৃত্যু হয়েছে, ভাবতে পারছি না।
“কলেজে আমি নিকিতাকে পড়িয়েছি। খুব খারাপ লাগছে এমন একটা খবরে।”
ফারজানা জানালেন, লাকীর ছেলের শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় মায়ের সঙ্গে বের হয়নি, বাসাতেই ছিল।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে লাগা আগুনে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর মধ্যে ৩৫ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে যাদের চিকিৎসা চলছে, তাদের অবস্থাও শঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।