Published : 02 Jun 2025, 02:11 PM
জাতির উদ্দেশে উপস্থাপনের আগে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন পেয়েছে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট।
বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এ বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তার বাজেটের আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।
সোমবার ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হওয়া এ বিশেষ সভা শেষ হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, বৈঠকে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। সেই সঙ্গে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ও অর্থবিল অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদসহ অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তৃতা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের এই বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
ওই বছরের ৯ জুন তখনকার অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনও ছিল সোমবার।
সালেহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। এবার তিনি মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবে নিজের প্রথম বাজেট দিতে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৫ জন অর্থমন্ত্রী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসকসহ) ৫৩টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর আগে।
তিন মেয়াদে সর্বোচ্চ ১২টি করে বাজেট দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে দুই প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এবং আবুল মাল আবদুল মুহিতের।
আওয়ামী লীগের গত চার মেয়াদে সাড়ে ১৫ বছরে আবুল মাল আবদুল মুহিত টানা দশবার, আ হ ম মুস্তফা কামাল পাঁচবার এবং আবুল হাসান মাহমুদ আলী একবার জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করেন।
নির্বাচিত সরকারের আমলের এসব বাজেট জাতীয় সংসদেই উপস্থাপন করা হয়। পরে মাসজুড়ে সেই প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা হত সংসদে। জুন মাসের শেষ দিকে সংসদে পাস হত নতুন অর্থবছরের বাজেট।
এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে তা কার্যকর করা হবে।