Published : 01 Oct 2024, 01:53 PM
ব্র্যাক ব্যাংকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক চাকরিচ্যুতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি ব্যাংকটির একদল সাবেক কর্মী।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, “জোরপূর্বক চাকরি থেকে বাদ দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিআরপিডির সার্কুলার সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেছে। তাই চাকরিচ্যুত কর্মীদের অবিলম্বে পুনর্বহাল ও ভুক্তভোগীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
“ব্র্যাক ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের অন্যায়ের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া প্রবর্তন করতে হবে।”
ব্যাংকটিতে দুই দশকের কর্মজীবনের কথা তুলে ধরে সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “কিন্তু আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছে। আমি অনেক সততার সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে কাজ করেছিলাম।
“কিন্তু অনেক কর্মীকেই হয়রানি করা হয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ড যাতে ব্র্যাক ব্যাংক আর না করে, সেই অনুরোধ আমরা জানাচ্ছি।"
ব্যাংকটির সাবেক এসপিও জান্নাতুল ফেরদৌসি বলেন, “পারফরমেন্স খারাপের কারণে আমাকে একদিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে কর্তৃপক্ষ। আমি যথাযথ কারণ জানতে চাইলেও তারা আমাকে কিছু জানাননি।”
চার বছরে আড়াই হাজারের বেশি কর্মকর্তা ব্র্যাক ব্যাংক ছেড়েছেন বলে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে আসে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাড়ে আট হাজারের বেশি কর্মীর ব্র্যাক ব্যাংক থেকে বাদ দেওয়া কর্মকর্তাদের ওই সংখ্যা ‘অবিশ্বাস্য রকম বেশি’।
তাদের বেশির ভাগকে পদত্যাগে ‘বাধ্য করা হয়েছে’ বলেও মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর বলেন, “পারফরমেন্সের কারণে ২৩৯ জন এবং শৃঙ্খলাজনিত কারণে ২২২ জন অব্যাহতি পেয়েছেন। বাকিদের চাকরিচ্যুত করা হয়নি।"
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, “এ বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"