Published : 03 Jun 2025, 12:54 AM
প্রস্তাবিত বাজেটে যানবাহন খাতে বেশ কিছু শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব এসেছে। এর ফলে টায়ার, বাস-মাইক্রোবাস, ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ি এবং ই বাইকের দাম কমতে পারে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় বলেন, “টায়ার উৎপাদনে ব্যবহার্য উপকরণের শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া, ১৬ থেকে ৪০ আসন বিশিষ্ট বাস এবং ১০-১৫ আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসের শুল্ক-কর হ্রাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।“
১৫ থেকে ৪০ আসনের গাড়ির আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। আর ১৫ আসনের বেশি নয় এমন গাড়ির (মাইক্রোবাস) আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।
স্থানীয় পর্যায়ে পরিবেশবান্ধব ই-বাইক উৎপাদনে প্রণোদনা দিতে নতুন প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা।
এছাড়া সাধারণ ও আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ হাইব্রিড ও ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যালকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।
এদিকে বাজেটে গণপরিবহন হিসেবে ব্যবহৃত ১০-১৫ আসনবিশিষ্ট মাইক্রোবাস এবং ১৬-৪০ আসন বিশিষ্ট বাসের শুল্ক কমানোর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
বারভিডার সেক্রেটারি জেনারেল রিয়াজ রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমদানি ব্যয় হ্রাস পেলে ক্রেতারা সাশ্রয়ী মূল্যে এসব বাহন কিনতে পারবেন।
তবে বারভিডা তাদের বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির শুল্ক-কর হার পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে।
বাড়বে যন্ত্রাংশের দাম
গাড়ির দাম কমলেও খরচ বাড়বে যন্ত্রাংশে। গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে সামনের ও পেছনের কাচ (উইন্ডশিল্ড) এবং জানালার কাচের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
২০১৩-২০১৪ সালে জ্বালাও, পোড়াও ও ভাঙচুরের সময় গাড়ির কাচের দাম কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল তখনকার সরকার।
গাড়ির ব্রেক ধরতেও খরচ বাড়বে। ব্রেক লাইনিং ও ব্রেক প্যাডের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। ব্রেক এবং সার্ভো ব্রেক এবং এগুলোর যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া গিয়ার বক্স এবং এর যন্ত্রাংশ, ডিফারেন্সিয়ালসহ ড্রাইভ এক্সেল, নন ড্রাইভিং এক্সেল এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ, রোড হুইলস এবং এর যন্ত্রাংশ, শক এবজর্বারসহ সাসপেন্সন সিস্টেম, রেডিয়েটর এবং এগুলোর যন্ত্রাংশ, সাইলেন্সার- মাফলারসহ এক্সস্টের যন্ত্রাংশ, ক্লাচ অ্যাসেম্বলির যন্ত্রাংশ, স্টিয়ারিং হুইল-স্টিয়ারিং কলাম-স্টিয়ারিং বক্স ও এগুলোর যন্ত্রাংশ, এয়ারব্যাগ ও এর যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ থেকে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।