Published : 02 Jun 2025, 11:33 PM
নতুন অর্থ বছরের বাজেটের কিছু বিষয়ের প্রশংসা করলেও সার্বিকভাবে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছে না ব্যবসায়ীদের দুই সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এবং ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
ডিসিসিআই বলছে, এ বাজেট সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ‘ততটা সহায়ক নয়’।
আর ফিকি বলছে, বাজেটে যেসব প্রস্তাব এসেছে তার কোনো কোনোটি ব্যবসায়িক সম্প্রসারণকে ‘প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করতে পারে’।
করদাতাদের ওপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপার সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বেগ এসেছে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। তবে বিজিএমইএর প্রশাসক এ বাজেটকে মোটাদাগে ‘ইতিবাচক’ বলেছেন।
সোমবার ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের জন্য সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা) চেয়ে ৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১২ দশমিক ৬৫ শতাংশের সমান।
বাজেট ততটা আশাব্যঞ্জক নয়: ডিসিসিআই সভাপতি
বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, সহজে ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ উন্নয়ন, সিএমএসএমই এবং ব্যাংকিং খাত সংস্কার বিষয়ে বাজেটে ‘সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা’ দেখতে পাচ্ছেন না ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
তিনি বলছেন, এ বাজেট সার্বিক ব্যবসা ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ‘ততটা সহায়ক নয়’।
বাজেট ঘোষণার পর ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন তাসকীন।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ন্যূনতম করের সমন্বয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য বিয়োজনের আওতা বৃদ্ধি, করজাল সম্প্রসারণ এবং অটোমেটেড রিটার্ন ব্যবস্থা চালুকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি।
ঢাকা চেম্বারের এই নেতা বলেন, বাজেটে অনেকক্ষেত্রে ‘সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের অনুপস্থিতির কারণে’ ব্যবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রম বেশ চাপের মধ্যে থাকতে পারে।
“প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশ বড়, যা অর্জন বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্যক্তি পর্যায়ের করের সীমা অপরিবর্তিত রাখা এবং স্ল্যাব উঠিয়ে নেওয়ায় মধ্যবিত্ত ও বিশেষ করে চাকরিজীবীদের করের বোঝা আগামী অর্থবছর থেকে আরো বেশি বহন করতে হবে।”
তিনি বলেন, অটোমোবাইল খাতে খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির উপর শুল্ক ১০ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করায় এখাতের স্থানীয় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে।
টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্তকে পুনঃবিবেচনা করার দাবি জানান ডিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ কমলেও স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যাট বাড়ানোয় এ শিল্পের বিকাশ ব্যাহত হবে।
“বাজেটে মূল্যস্ফীতি হ্রাসে কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালন ব্যয় বাড়বে, যা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতির গতিকে মন্থর করবে।”
ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার খরচ ৬-৭ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তাসকীন আহমেদ।
তিনি বলেন, “আর্থিক খাত থেকে সরকারের অধিক হারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে, যার মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ হ্রাস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।”
এসএমই খাতের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট কোনো ‘রোডম্যাপ’ এ বাজেটে দেখছেন না ডিসিসিআই সভাপতি।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা ফিকির
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ অধ্যাদেশে অগ্রগতির প্রশংসা করলেও বিনিয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফিকি বলেছে, “যদিও আমরা কিছু ইতিবাচক দিক চিহ্নিত করেছি, তবুও কয়েকটি বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। যা ব্যবসায়িক সম্প্রসারণকে প্রতিকূলভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং অনুগত করদাতাদের উপর অতিরিক্ত কর আরোপ করতে পারে।”
বাজেটের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরে ফিকি বলছে, অর্থ অধ্যাদেশ-২০২৫ এ নির্দিষ্ট খাতের ওপর চাপ কমানো এবং আরও নির্ভরযোগ্য কর ব্যবস্থা তৈরির প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।
নির্মাণ কোম্পানি এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর হ্রাস করা একটি ‘বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ’ মন্তব্য করে সংগঠনটি বলেছে, এ পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলোর জন্য স্বস্তি দেবে।
এছাড়া যৌথ উদ্যোগ থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর উৎস কর আরোপ না করা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোর জন্য সুসংবাদ বলে মনে করে ফিকি।
আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দ্বৈতকর পরিহার চুক্তিকে আয়কর আইন ২০২৩-এর ওপর প্রাধান্য দেওয়ার উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
তবে অর্থ অধ্যাদেশের বেশ কিছু ‘বিতর্কিত’ বিষয় রয়েছে বলেও মনে করছে ফিকি।
সংগঠনটি বলছে, পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানিগুলোর মধ্যে যাদের শেয়ারের ১০ শতাংশের কম আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করা হয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত সাড়ে সাত শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব ‘উদ্বেগজনক’। বর্ধিত হারে এই করের প্রভাব ‘বৈষম্যমূলক’ বলেও ব্যবসায়ী সংগঠনটি মনে করে।
ব্যাংকিং মাধ্যমে লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য হ্রাসকৃত করহার পাওয়ার সুবিধা বাদ দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
ফিকি বলছে, “এর ফলে করের হার সাড়ে ২৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জাতীয় প্রচেষ্টার বিপরীত। সেই সঙ্গে এর ফলে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার মত অর্থনীতির তুলনায় বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেবে।”
আয়কর স্ল্যাবে পরিবর্তন আনায় বেতনভোগী করদাতাদের ওপর প্রভাব পড়কে, সে বিষয়েও হতাশা প্রকাশ করেছে ফিকি।
সংগঠনটি বলছে, “যদিও প্রাথমিক স্তরে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু, সামগ্রিক পরিবর্তন বিবেচনায় মধ্য আয়ের করদাতাদের উপরে এটি অতিরিক্ত করের বোঝা সৃষ্টি করবে।”
ফিকি বলছে, অনলাইন বিক্রির ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে; যা দেশের অনলাইন ব্যবসার কোম্পানিগুলোকে ‘হুমকির মুখে’ ফেলবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বিনিয়োগ প্রকল্প উৎসাহিত করার জন্য বাজেটে পিপিপি তহবিলে ৫ হাজার ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে ফিকি।
বাজেট ইতিবাচক: বিজিএমইএ
বাজেট নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য এসেছে পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রশাসকের পক্ষ থেকে।
বিজিএমইএ এর প্রশাসক আনোয়ার হোসেনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রস্তাবিত বাজেট লক্ষ্যবিলাষী ধারণা থেকে সরে এসে সামগ্রিক উন্নয়ন, বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নাগরিক সুবিধা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তোরণ প্রভৃতির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বিজিএমইএ মনে করে, এগুলো বাজেটের অনন্য দিক।”
বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে পোশাক কর্মীসহ দেশের স্বল্প আয়ের মানুষরা উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বিজিএমইএ প্রশাসক।
সামাজিক নিরাপত্তাখাতের আওতায় কিছু কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও উপকারভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে, যা ইতিবাচক বলে তিনি মনে করেন।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমানোর লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আগামীতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যুতের দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়টি শিল্পের জন্য ‘অত্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “এলএনজি এর আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রেট্রোলিয়াম ও ডিজেলের আমদানি শুল্কও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ভোক্তা পর্যায়ে এর সুফল পৌঁছাবে এবং প্রত্যক্ষভাবে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমবে। সর্বোপরি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।”
এবারের বাজেট পোশাক শিল্পের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রত্যাশাপূর্ণ’ মন্তব্য করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার বলেন, “ঘোষিত বাজেটে রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর এবং শিল্পে করপোরেট কর অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বিজিএমইএ একে সাধুবাদ জানায়। বিজিএমইএ এর অনুরোধে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া এবং বন্ড ব্যবস্থাকে সহজীকরণ ও ব্যবসাবান্ধব করার উদ্দেশ্যে নিম্নোল্লেখিত সংশোধনীগুলো আনা হয়েছে যা তৈরি পোশাক রপ্তানি বাণিজ্যকে আরো গতিশীল করবে।”
অত বেশি প্রত্যাশা না করাই ভালো: আব্দুল আউয়াল মিন্টু
অন্তর্বর্তী সরকারের এ বাজেট থেকে থেকে খুব বেশি কিছু আশা করছেন না এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
তিনি বলেছেন, “এখানে তো আমি কোনো নতুনত্ব খোঁজার চেষ্টা করব না এজন্য যে উনারা উনাদের মত একটা বাজেট দিয়েছে। সেটা বাজেটের একটা আয়-ব্যয়, হিসাব। তবে বাজেট কিন্তু একটা আইনও। বাজেটের মাধ্যমে অনেকগুলো সংস্কার করা যায়।
“স্বাস্থ্যখাতে বলেন, দুর্নীতি কমাতে বলেন, শিক্ষা খাতের বলেন অনেক সংস্কার কিন্তু বাজেটের মাধ্যমেও আনা যায়। আমরা যেটা প্রত্যাশা করি এ মুহূর্তে অত বেশি প্রত্যাশা না করাই ভালো আমাদের জন্য।”
বাজেটে ব্যয় কমানো হলেও রাজস্ব আহরণের নির্ধারিত মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। সে কারণে তা অর্জন হওয়ার ‘সম্ভাবনা কম’ বলে মনে করছেন মিন্টু।
তিনি বলেন, “ব্যবসা-বাণিজ্য যদি প্রসারিত না হয়, বিনিয়োগ বৃদ্ধি না হয়, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যদি ব্যপকভাবে বিস্তৃত না হয়, তাহলে আপনার রাজস্ব আহরণ তো এমনি কমে যায়।”
এই ব্যবসায়ী বলেন, “বিনিয়োগের জন্য প্রথমে দরকার সামাজিক শৃঙ্খলা। বাংলাদেশে বর্তমান সামাজিক শৃঙ্খলা যদি আপনি চিন্তা করতে যান তাহলে সেটা কোনভাবেই বিনিয়োগের জন্য সহায়ক পরিবেশ নাই। রাজনৈতিক অস্থিরতা যদি বাড়ে একটা সমাজে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগের পরিস্থিতি থাকে না।
“বাংলাদেশে এখন ডাবল সমস্যা। একটা হল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, আরেকটা হল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা। এ দুটোর সমন্বয়ে যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এখন এখানে বিনিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। দেশের সেভিংস কমে যাচ্ছে, কারণ গত তিন বছর থেকে আমাদের মূল্যস্ফিতি প্রকৃত মজুরির হার থেকে বেশি।সঞ্চয় যদি কমে যায় তাহলে বিনোয়োগ কিভাবে হবে? বিনিয়োগ না হয় তাহলে কোনভাবে কর্মসংস্থান হবে না। কর্মসংস্থান কম হলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা আরও বেড়ে যাবে।”