Published : 19 May 2025, 01:20 AM
হবিগঞ্জের প্রাণের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে উৎপাদন করা আমের স্বাদের পানীয় ফ্রুটো ট্রাকে করে আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের আগরতলায় পৌঁছাতে মোটামুটি ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হত, সময় লাগত তিন ঘণ্টার মত। কিন্তু ভারত স্থলপথে বাংলাদেশ থেকে এ ধরনের পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দেওয়ায় জটিলতায় পড়েছে প্রাণ গ্রুপ।
ফ্রুটোর ওই চালান এখন আগরতলায় পৌঁছে দিতে হলে যেতে হবে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। তারপর সেই চালান ভারতের চার রাজ্য ঘুরে আগরতলায় পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হবে প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার পথ, সময় লাগবে কয়েক দিন।
সেক্ষেত্রে এক বোতল প্রাণের দাম বেড়ে যে অবস্থায় পৌঁছাবে, তাতে সেভেন সিস্টার্স হিসেবে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এ ধরনের পণ্য রপ্তানি আদৌ কতটা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন কর্মকর্তারা।
কেবল ফ্রুটো নয়, ফল, ফলের-স্বাদযুক্ত পানীয় ও কার্বোনেটেড ড্রিংকস; বেকারি, চিপস, স্ন্যাকস এবং কনফেকশনারিতে তৈরি প্রক্রিয়াজাত খাবার; তুলা ও সুতার ঝুট; পিভিসিসহ বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্য এবং কাঠের তৈরি আসবাবপত্রও ভারত সরকারের এই বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে।
আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনও ‘ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন’ বা ‘ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট’ (আইসিপি) দিয়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন দিয়ে এসব পণ্য ভারতে প্রবেশ করতে পারছে না।
কেবল প্রাণ নয়, বাংলাদেশের যে উদ্যোক্তারা এসব পণ্য রপ্তানি করেন, তাদের সবাইকেই এখন সমস্যার মোকাবেল করতে হবে।
আরো বড় সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
ভারত সরকার শনিবার যে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছে, তাতে কোনো স্থলবন্দর দিয়েই বাংলাদেশ থেকে কোনো ধরনের পোশাক পণ্য ভারতে ঢুকতে পারবে না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এখন থেকে কেবল কলকাতা ও মুম্বাইয়ের নভসেবা (জওহরলাল নেহরু) সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবে।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এতদিন এক ট্রাক তৈরি পোশাক কলকাতায় পাঠাতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ত ছয় লাখ টাকার মত। আর সেটা পৌঁছে যেত তিন দিনের মধ্যে।
এখন সেই পণ্যের চালান চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে হলদিয়া বন্দর দিয়ে কলকাতায় পৌঁছাতে খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হবে, সময় লাগবে আটগুণ বেশি।
এ অবস্থায় কলকাতা ও মুম্বাই বন্দর এবং পরবর্তী পরিবহন ব্যবস্থা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত এসব রপ্তানি পণ্যের চালান পাঠানো বন্ধ রাখছেন উদ্যোক্তারা। যেসব ট্রাক রোববার সকালেও পণ্য নিয়ে বেনাপোল ও অন্যান্য স্থলবন্দরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল করা হয়। আর শনিবারই রওনা হয়ে গিয়েছিল এরকম কয়েক ডজন ট্রাক আটকা পড়েছে বিভিন্ন স্থলবন্দরে।
ভারতের এই কঠোর পদক্ষেপে প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য যে বড় ধাক্কা খাবে, তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সন্দেহ নেই।তবে তার আর্থিক পরিমাণ কত হবে, সে হিসাব এখনো তারা করে উঠতে পারেননি।
তবে ভারতের গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভের (জিটিআরআই) বরাতে সম্ভাব্য একটি হিসাব প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। সেখানে বলা হচ্ছে, ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের প্রায় ৭৭ কোটি ডলারের বাণিজ্যে প্রভাব পড়তে পারে। অর্থের ওই পরিমাণ বাংলাদেশ থেকে ভারতের মোট আমদানির প্রায় ৪২ শতাংশ।
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যসহ অন্তত সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নতুন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তাতে ভারতের ব্যবসায়ীরা ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন অবশ্য বিষয়টি একটু ভিন্নভাবে দেখতে চাইছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এই পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভৌগলিকভাবে সংযুক্ত দুটি দেশ আমরা। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার একটা প্রক্রিয়া। উভয়পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এটার একটা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত আনতে পারব। আমাদের আরও কিছু বন্দর এখনও খোলা আছে।”
বাংলাদেশ বিষয়টি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবে জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আমরা নিশ্চয় এই অবস্থানগুলোকে তুলে ধরব এবং সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারব।”
যেসব পণ্য বাণিজ্য হয় দুদেশের মধ্যে
ভারতে প্রধানত তৈরি পোশাক, বিস্কুট, হিমায়িত খাদ্য, মাছ, চিংড়ি, হোম টেক্সটাইল, কাঁচা পাট ও পাট পণ্য, হস্তশিল্প, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, টিভি, ফ্রিজ, ওভেন ও গৃহস্থলী পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ।
রপ্তানির পরিমাণের দিক দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য সপ্তম শীর্ষ গন্তব্য হল ভারত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৫৫ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৪ শতাংশ।
এর মধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয় ছিল ৫৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের। এই সময়ে হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে ২৫ লাখ ডলারের।
এর বিপরীতে সুতা, তুলা, যন্ত্রাংশ, খাদ্য পণ্য, মোড়কজাত পণ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পশু খাদ্যসহ অন্তত ৩০ ধরনের পণ্য প্রতি বছরে আমদানি করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আমদানি তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটি থেকে মোট ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ, যা মোট আমদানির ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উদ্যোক্তারা
ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পার হতে হয়। বিষয়টি যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি ব্যয়বহুল। সেই তুলনায় বাংলাদেশ থেকে দূরত্ব কম হওয়ায় দ্রুত ও স্বল্প খরচে এসব রাজ্যে পণ্য যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সে কারণে ‘সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি দিন দিন বাড়ছিল।
এতদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, মৌলভীবাজার, সিলেট সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরা, শিলং, মিজোরাম আসাম ও মেঘালয়ে পণ্য যেত।
আর যশোর হয়ে বা পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট দিয়ে ট্রাকে করে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য অংশে পণ্য পাঠানো যেত।
এখন স্থলপথে পণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আসায় বাংলাদেশের পোশাক পণ্য প্রথমে পাঠাতে হবে নিকটস্থ কলকাতা সমুদ্র বন্দরে। সেখান থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলো দিয়ে সড়ক পথে দেড় থেকে দুই হাজার কিলোমিটার পথ পার হয়ে পণ্যের চালান সেভেন সিস্টার্সে পৌঁছাতে পারবে।
বাকি পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে ভারত বেনাপোল বা হিলি বন্দরে নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে বেনাপোল দিয়ে কোনো খাদ্য পণ্য আমদানি করে না ভারত। আর বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ধরনের খাদ্যপণ্য রপ্তানি করেন না। এর বাইরে সাতক্ষীরার ভোমড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের অবশিষ্ট এলাকাগুলোতে পণ্য রপ্তানির সুযোগ আছে।
অথচ কম দূরত্বের সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশের বড় কয়েকটি কোম্পানি সীমান্তের কাছাকাছি কারখানা গড়ে তুলেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
তাদের কারখানা থেকে এক দিনেই পণ্য চলে যেত সীমানার ওপারে বিভিন্ন শহরে। এখন বন্দর দিয়ে সেই পণ্য পাঠাতে কমপক্ষে ১০ দিন লেগে যাবে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
স্থলপথে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় কলকাতা বন্দর সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ, অনাপত্তিপত্র, রপ্তানি আদেশ এবং ভারতের বন্দর থেকে সড়ক পথে সেভেন সিস্টারস রাজ্যগুলোতে যাওয়ার যানবাহন সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছেন উদ্যোক্তারা।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন বিভাগের প্রধান ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বলছেন, আরো দুয়েকদিন সময় নিয়ে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারা পদক্ষেপ নেবেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এখনতো খরচ ও সময় বেড়ে যাবে। কলকাতা বন্দর দিয়ে পণ্য পাঠাতে কয়েক বার লোড-আনলোড করতে হবে। হাজার কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হবে রাস্তায়। এটা সহজ হবে না।”
তাতে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের উদ্যোক্তা ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মনে করছেন ইলিয়াস মৃধা।
তিনি বলেন, “দুই দেশের সরকারকে এর সমাধান বের করতে হবে। নইলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমবে এসব রাজ্যের মানুষের।”
ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, বিস্কুট, বিভিন্ন প্রকার ফ্রুট ড্রিংকস, হিমায়িত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য মিলিয়ে বছরে গড়ে এক কোটি ডলারের পণ্য ভারতে রপ্তানি করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
এর বেশিরভাগ পণ্যই যায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যে। এসব রাজ্যে ইলেকট্রনিক্স ও অন্যান্য পণ্যও রপ্তানি করেন বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। সেসব পণ্যে নিষেধাজ্ঞা না এলেও দুই দেশের বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সদস্য ও ডিএসএম কমোডিটিস এর চেয়ারম্যান দিপক কুমার বড়াল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কতো একদিনের না। দিন দিন এর পরিসর বাড়ছে। দুই দেশই পণ্য আনা-নেওয়া করে। ফলে এই বিধিনিষেধ কয়েকটি পণ্যর মধ্যেই সীমিত থাকলে ভালো।”
ভারতে স্বল্প পরিমাণে বিস্কুট রপ্তানি করে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানির চেয়ারম্যান আজিজ মোহাম্মদ বলছেন, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিস্কুট রপ্তানি তো খুবই সামান্য হয়। কিন্তু এত বিধিনিষেধ এলে সবাইকেই সতর্ক হতে হবে।”
বন্দরে আটকে ট্রাক
গত শনিবার স্থলপথে রপ্তানি বন্ধের আদেশ জারি করে ভারত। বেনাপোলের অপর প্রান্ত পেট্রাপোল কাস্টমসে সেই চিঠি পৌঁছানোর পর নির্দিষ্ট পণ্যগুলোর রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত করেছে দেশটির কাস্টমস বিভাগ। তাতে বিভিন্ন স্থলবন্দরে আটকা পড়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যবাহী কয়েক ডজন ট্রাক।
এর মধ্যে তৈরি পোশাকবোঝাই ৩৬ ট্রাক আটকা পড়েছে বেনাপোল স্থলবন্দরে। আর প্রাণের ১৭ ট্রাক পণ্য আটকেছে বুড়িমারী সীমান্তে।
আগে থেকে এলসি হওয়া পণ্যর যেসব চালান বন্দরে গিয়ে পৌঁছেছে, সেগুলো খালাসের চেষ্টা করছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন পণ্যের কোনো চালানের গেটপাস পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ দেয়নি। যেহেতু এসব পণ্যের এলসি আগে করা, তাই চেষ্টা চলছে গেটপাস বের করার।”
বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন্যান্য সময়ের মতই আমদানি রপ্তানি চালু রয়েছে। তবে, নিষেধাজ্ঞা আসা পণ্য পাঠানোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।”
সভা ডেকেছে এফআইসিসিআই
বাংলাদেশে ব্যবসারত বহুজাতিক বা বিদেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন হল ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই। এ সংগঠনের সদস্যদের অনেকে বাংলাদেশে থেকে ভারতে পণ্য রপ্তানি করেন।
কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানিও এ সংগঠনে রয়েছে, যারা বাংলাদেশ থেকে পণ্য উৎপাদন করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কতটা বিরূপ প্রভাব ফেলবে, তা জানতে সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা ডেকেছে এফআইসিসিআই।
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক নুরুল কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পুরো তথ্য পেলে পরবর্তী করণীয় নিয়ে ভাবা যাবে। তবে এমন সিদ্ধান্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সহায়ক নয়। সদস্যদের মতামত পেলে সম্যক প্রভাব সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।”
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বেনাপোল প্রতিনিধি]