Published : 18 May 2025, 03:10 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের ‘প্রকৃত খুনিকে’ খুঁজে বের করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেছেন, “আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। এর মধ্যে যদি সাম্য হত্যার প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের করা না হয়, তাহলে আমরা আরো জোরালো আন্দোলনে যাব।”
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
অধ্যাপক মোর্শেদ বলেন, “সাম্য মারা যায়নি, হত্যা করা হয়েছে। সাম্য হত্যার আজ পাঁচ দিন পূর্ণ হল। এই পাঁচ দিনে আমরা একটি আইওয়াশ এরেস্ট দেখেছি, যা আমরা মানতে বাধ্য না।
“সাম্য হত্যার প্রকৃত হত্যাকারী কে সেটি বের করার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছি।”
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় গত ১৫ মে রাতে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)।রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাম্য এফ রহমান হলের ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলেছে, তারা সবাই ‘বহিরাগত’।
অধ্যাপক মোর্শেদ বলেন, “আমরা কোনো ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করব না। সাম্য হত্যার মোটিভকে অন্যদিকে ডাইভার্ট করতে চাচ্ছে একটি গ্রুপ। আগে সাম্য হত্যার বিচার হবে তারপর আমরা অন্য আলাপ করব।
“গত ২ মাস আগে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যারও বিচার হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক হত্যা হয়েছে। বিচার হয়নি। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলব সাম্য হত্যার বিচার থেকে শুরু করেন।”
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই নয় মাস সংস্কারের বুলি আওড়াচ্ছে সরকার। কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখতেছি না। শুধু গুম, খুন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি। কোনো রকমের সিকিউরিটি সরকার দিতে পারছে না।
“সরকারকে বলব, আগে দেশকে ভালোবাসেন। দেশের জন্য কাজ করেন। খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো সরকার টিকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। দেশের জন্য কাজ করেন আমরা সবাই আপনার পাশে থাকব। দেশের জন্য কাজ না করলে আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হব।”
সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, “সাম্য হত্যার বিচার চাই আমরা। আর কোন অগ্রগতি দেখছি না। শুধু দেখছি মিছিল মিটিং। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো মিছিল মিটিং ও পার্কিংয়ের জায়গা হবে সেটা আমরা চাই না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ব্যবস্থাপনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে আনা হোক।”